সিরিজ জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে কি পরিবর্তন আসবে
Published: 3rd, October 2025 GMT
জয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। কাল শারজাতে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে আবার মাঠে নামবে জাকের আলীর দল।
এই ম্যাচে কি বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন আসবে? কেমন হতে পারে আফগানিস্তান সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ?
প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ খানিকটা চমকই উপহার দিয়েছে। ওপেনিংয়ে এশিয়া কাপে দুটি ফিফটি করা সাইফ হাসানকে ব্যাটিং অর্ডারে তিনে নামানো হয়। ওপেন করেছেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন। দুজনে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। তাদের জুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। দুজনই করেন ফিফটি। আজও এ দুজনই ওপেন করতে পারেন। তিনে খেলতে পারেন সাইফ। যদিও তিনি কাল শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
প্রথম ম্যাচে চারে ব্যাট করেন অধিনায়ক জাকের আলী। পাঁচ নম্বরে খেলেছেন শামীম হোসেন, ছয়ে নুরুল হাসান। মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করতে আজ দলে ফিরতে পারেন তাওহিদ হৃদয়। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন শামীম।
কালও রান করতে পারেননি শামীম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)