স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হলেন ফারাহনাজ ফিরোজ
Published: 9th, February 2025 GMT
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারাহনাজ ফিরোজ। ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) এক বিশেষ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনি ২০১১ সাল থেকে বোর্ডের সদস্য।
ফারাহনাজ ফিরোজ একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বিভিন্ন ক্লাস নেন, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ফোরাম বা ক্লাব গঠন করেন, যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যকলাপে অংশ নিতে ও সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজির একজন আজীবন সদস্য। বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিচ্যুত পুলিশ ও সেনা সদস্যের নেতৃত্বে উত্তরায় লুট হয় কোটি টাকা
রাজধানীর উত্তরায় নগদ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে র্যাব পরিচয়ে ১ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার টাকা লুটে জড়িত চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং পুলিশের উত্তরা বিভাগ ও উত্তরা পশ্চিম থানা। অভিযানে নগদ ২২ লাখ ১০ হাজার ৭৮০ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত ১২ লাখ টাকা ও হায়েস গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ছিনতাইকারী চক্রের দলনেতা মোস্তফা ওরফে শাহিন একজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য এবং শেখ মো. জালাল উদ্দিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে র্যাব ও পুলিশের পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন, শেখ মো. জালাল উদ্দিন ওরফে রবিউল, ইমদাদুল শরীফ, সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপন ও মো. হাসান। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও চালককে শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে মাইক্রোবাসের চালক মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানার একটি দল। এ সময় তার কাছ থেকে নকল নেমপ্লেট ও নগদ ৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, হাসানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সবুজবাগ থানার মাদারটেক চৌরাস্তার স্বপন মিয়ার গ্যারেজ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। অন্যদিকে ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে চক্রের মূলহোতা গোলাম মোস্তফা ঘরামী ওরফে শাহিনকে বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মহিদুল ইসলাম বলেন, শাহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইমদাদুল শরীফকে রাত ১১টা ৫০মিনিটে আদাবর থানাধীন বায়তুল আমান হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৮ লাখ ৪ হাজার ৭৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহিন ও শরীফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শেখ মো. জালাল উদ্দিনকে একই দিন রাতে সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৬৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জালাল নিজেকে ক্যাপ্টেন জালাল হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। জালাল ঘটনার পরদিন লুণ্ঠিত ১২ লাখ টাকা ঢাকা ব্যাংকের নিজ নামীয় অ্যাকাউন্টে জমা করেন। ওই টাকা জব্দের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উপকমিশনার জানান, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য সদস্য সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপনকে বুধবার রাতে এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে র্যাব ও পুলিশের নকল আইডি কার্ড, লাঠি, সিগনাল লাইট, সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত মানিব্যাগ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন সকালে নগদের ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন তার উত্তরার বাসা থেকে প্রতিষ্ঠানের চারজন কর্মচারীসহ চারটি ব্যাগে ১ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার টাকা নিয়ে দুটি মোটরসাইকেল যোগে উত্তরার নগদের অফিসের উদ্দেশে রওনা হন। পথে উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর রোডের সংযোগস্থলে একটি কালো রঙের হায়েজ মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ‘র্যাব’ লেখা কালো কোটি পরিহিত মুখে কালো কাপড় বাঁধা ৬ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হাতে অস্ত্র নিয়ে নামেন। তাদের কাছে আসতে দেখে নগদের টাকা বহনকারী কর্মচারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে দৌড়ানোর চেষ্টা করেন।
তখন দুষ্কৃতকারীরা তাদের ধাওয়া করে চারটি ব্যাগে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের তিনজনকে মাইক্রোবাসে তুলে হাত-চোখ বেঁধে মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে একজন কর্মচারী পালাতে সক্ষম হন। পরে ডাকাতরা তিনজনকে তুরাগ থানার ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় ফেলে রেখে টাকা, দুটি অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ও তিনটি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়।