ফুটবল মঞ্চে আবির্ভাবের পর থেকেই লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে লিওনেল মেসির তুলনা হচ্ছে। দিন যতই গড়িয়েছে, ইয়ামালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে এই তুলনা ক্রমেই বেড়েছে। এমনকি মেসি নিজেও ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখার কথা বলেছেন।

তবে মেসির সঙ্গে এই তুলনা যে সবাই পছন্দ করছেন, তা কিন্তু নয়। যেমন সেভিয়ার মিডফিল্ডার সাউল নিগেজ এই তুলনাকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন। এমনকি এ ধরনের তুলনা ইয়ামালের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আগামীকাল লা লিগায় বার্সার মুখোমুখি হবে সেভিয়া। সেই ম্যাচের আগে সাউল কথা বলেছেন ইয়ামালকে নিয়ে। ১৭ বছর বয়সী ইয়ামালকে নিয়ে সাউল বলেছেন, ‘যদি তারা লামিনে ইয়ামালকে সফল হতে দেখতে চায়, তবে তাদেরকে (মেসির সঙ্গে) তুলনা করা কমাতে হবে, সামান্য না অনেকটাই। যদি তারা ইয়ামালের ভালো চায়, তবে আমি বলব একটু ধীরেসুস্থে (তুলনা টানুন)।’

আরও পড়ুনইয়ামাল যেভাবে ‘মেসি ২.

০’ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

কেন মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনা বন্ধ করা উচিত, সেটা জানিয়ে সাউল আরও বলেছেন, ‘প্রথম কারণ, মেসি একেবারেই আলাদা একজন। আমি মনে করি না তার কাছাকাছি অন্য কেউ আছে। ক্রিস্টিয়ানোও আলাদা। তারা এমন খেলোয়াড়, যারা ১০, ১৫, ২০ বছর চূড়ায় অবস্থান করেছে। ইউরোর পর থেকে লামিনে ইয়ামাল অসাধারণ ছিল। কিন্তু তুলনা ভালো কিছু না। একজন স্প্যানিশ ভক্ত হিসেবে আমাদের তাকে রক্ষা করা উচিত। তাকে খেলার প্রতি মনোযোগী থাকতে দিন। নিজের মতো করে খেলতে দিন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের

ইরানের চলমান পরিস্থিতি বোঝাতে বিবিসির সঙ্গে কথা বলা বেশির ভাগ মানুষ একটাই কথা বলেছেন, ‘আটকে গেছি।’

বিবিসি নিউজ পার্সিয়ানকে তেহরানের এক বাসিন্দা বলেন, ইসরায়েলের টানা তিন দিনের হামলার পর পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সবাই কোনো না কোনোভাবে শহর ছাড়ার চেষ্টা করছে।

গতকাল রোববার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পেট্রোলপাম্পে লম্বা লাইন দেখা যায়। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেকে শহর ছেড়ে দূরে নিরাপদ এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তীব্র যানজটে তারা প্রদেশের সীমানাই পার হতে পারেননি।

তেহরানের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘তেহরান এখন একদম নিরাপদ নয়। ইসরায়েলি হামলার আগে আমরা কোনো সাইরেন বা সরকারি সতর্কতা পাই না। শুধু বিস্ফোরণের শব্দ শুনি আর প্রার্থনা করি, এবার যেন আমাদের বাসায় বোমা আঘাত না হানে। আর যাবই বা কোথায়? এখন আর কোনো জায়গাকে নিরাপদ মনে হয় না।’

তেহরান থেকে অন্য একটি প্রদেশে চলে যেতে পেরেছেন এমন একজন বলেন, ‘আমি এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, সত্যিই কি এক যুদ্ধক্ষেত্রে বাস করছি? কখন যে এই বাস্তবতা মেনে নিতে পারব, সেটাও জানি না।’

ওই ইরানি নাগরিক আরও বলেন, ‘এটা আমার যুদ্ধ নয়। যুদ্ধে কে জিতল, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আমি শুধু আমার পরিবারকে নিয়ে টিকে থাকতে চাই।’

ইসরায়েল শুক্রবার থেকে ইরানে টানা কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটা সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা। জবাবে ইরানও ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোববার জানায়, ইসরায়েলের হামলায় সারা দেশে ২২৪ জন নিহত হয়েছেন।

একজন ইরানি নারী বিবিসিকে বলেন, ‘গত দুই রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। খুব কঠিন সময় পার করছি।’

ওই নারী বলেন, এখনকার পরিস্থিতি তাঁকে ৮০–এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়কার দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তখন তিনি শিশু ছিলেন। বোমা পড়লেই দৌড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যেতেন।

ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের কেরমানশাহ শহর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের
  • শিষ্যদের কড়া বার্তা দিলেন রিয়ালের নতুন কোচ আলোনসো
  • বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রকে থামাইতেই হইবে
  • বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিন, শত্রু নয়
  • ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
  • একদিনে আয় ৮১ লাখ, ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের তাণ্ডব!
  • ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
  • লন্ডন বৈঠকের পর এখন বিএনপির দৃষ্টি নির্বাচনে , কী ভাবছে অন্য দলগুলো
  • সন্তানের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস