‘ইয়ামালের ভালো চাইলে মেসির সঙ্গে তুলনা করা কমান’
Published: 9th, February 2025 GMT
ফুটবল মঞ্চে আবির্ভাবের পর থেকেই লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে লিওনেল মেসির তুলনা হচ্ছে। দিন যতই গড়িয়েছে, ইয়ামালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে এই তুলনা ক্রমেই বেড়েছে। এমনকি মেসি নিজেও ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখার কথা বলেছেন।
তবে মেসির সঙ্গে এই তুলনা যে সবাই পছন্দ করছেন, তা কিন্তু নয়। যেমন সেভিয়ার মিডফিল্ডার সাউল নিগেজ এই তুলনাকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন। এমনকি এ ধরনের তুলনা ইয়ামালের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আগামীকাল লা লিগায় বার্সার মুখোমুখি হবে সেভিয়া। সেই ম্যাচের আগে সাউল কথা বলেছেন ইয়ামালকে নিয়ে। ১৭ বছর বয়সী ইয়ামালকে নিয়ে সাউল বলেছেন, ‘যদি তারা লামিনে ইয়ামালকে সফল হতে দেখতে চায়, তবে তাদেরকে (মেসির সঙ্গে) তুলনা করা কমাতে হবে, সামান্য না অনেকটাই। যদি তারা ইয়ামালের ভালো চায়, তবে আমি বলব একটু ধীরেসুস্থে (তুলনা টানুন)।’
আরও পড়ুনইয়ামাল যেভাবে ‘মেসি ২.০’ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
কেন মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনা বন্ধ করা উচিত, সেটা জানিয়ে সাউল আরও বলেছেন, ‘প্রথম কারণ, মেসি একেবারেই আলাদা একজন। আমি মনে করি না তার কাছাকাছি অন্য কেউ আছে। ক্রিস্টিয়ানোও আলাদা। তারা এমন খেলোয়াড়, যারা ১০, ১৫, ২০ বছর চূড়ায় অবস্থান করেছে। ইউরোর পর থেকে লামিনে ইয়ামাল অসাধারণ ছিল। কিন্তু তুলনা ভালো কিছু না। একজন স্প্যানিশ ভক্ত হিসেবে আমাদের তাকে রক্ষা করা উচিত। তাকে খেলার প্রতি মনোযোগী থাকতে দিন। নিজের মতো করে খেলতে দিন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে ‘আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি পেয়েছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ মারধরের ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী মো. গোলাম আজম ফয়সাল চিকিৎসা কেন্দ্রেই ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত। হামলার পর গুরুতর আহতাবস্থায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরো পড়ুন:
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
রাবি ছাত্রদলের কমিটি: সভাপতি-সম্পাদকসহ অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব নেই
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কেন্দ্রের ২৩ নম্বর কক্ষে ফয়সাল ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন। প্রথমে একজন বহিরাগত এসে ফয়সালের পরিচয় নিশ্চিত করে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ৭-৮ জন কক্ষে প্রবেশ করে ফয়সালকে ‘আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি পেয়েছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে এবং কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে তারা ফয়সালকে টেনেহিঁচড়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে আসে এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। মারধর শেষে যাওয়ার সময় যারা হামলার দৃশ্য ভিডিও করার চেষ্টা করলে তারা তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গোলাম আযম ফয়সাল বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে একজন আরেকজনকে ‘জনি, আর মারিস না’ বলে থামায়। চলে যাওয়ার সময় তারা আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দিয়ে যায়।”
নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকি। খুব আতঙ্কে দিন পার করছি।” হামলাকারীদের কাউকে চেনেন না বলে মামলার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি। তিনি বলেন, “ফয়সাল আগে আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে যেত বলে আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কিত। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে আমাদের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে বহিরাগতরা অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিকভাবে প্রহার করেছে। আমরা জনি নামে একজনের কথা শুনেছি, যার নেতৃত্বে এই হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা পুলিশের সহায়তায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আমি মাত্র বিষয়টি জানতে পারছি। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গতকাল পুলিশর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিং হয়েছে। তারা নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে কাজ করছে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী