রাশিয়াকে জি-৭ এ ফিরিয়ে আনা উচিত, বললেন ট্রাম্প
Published: 14th, February 2025 GMT
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এ আবারও রাশিয়াকে দেখতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, মস্কোকে এ জোট থেকে বের করা ছিল বড় ভুল। আমি ওদের আবার পেলে খুশিই হবো। আমার মনে হয়, ওদের বের করে দেওয়াটা ভুল ছিল। দেখুন এটা রাশিয়াকে পছন্দ করা বা না করার প্রশ্ন নয়। এটা জি-৮ ছিল। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়াও জোটটিতে ফিরতে মুখিয়ে আছে বলেই তার ধারণা। ট্রাম্প বলেন, আমি বলেছিলাম- তোমরা করছো কী? তোমরা যে দেশের সম্বন্ধে বলছো সেটা রাশিয়া এবং তাদের অবশ্যই (শিল্পোন্নত দেশগুলোর) এই টেবিলে বসা উচিত। আমার মনে হয় পুতিনও ফিরতে চাইবেন।
চলতি বছর জি-৭ এর সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছে কানাডা। ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কানাডার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া যখন এ জোটে ছিল তখন এর নাম ছিল জি-৮; ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া দখলের পর বাকি সদস্যরা মস্কোকে বহিষ্কার করলে জোটের নাম জি-৭ হয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।