Samakal:
2025-05-01@03:33:34 GMT

অ্যালোভেরার জাদু

Published: 22nd, April 2025 GMT

অ্যালোভেরার জাদু

প্রকৃতির আশীর্বাদস্বরূপ অনেক গাছপালা আমাদের জীবনে উপকার বয়ে আনে। তার মধ্যে অ্যালোভেরা যেন এক সবুজ জাদুকর, যার গুণাগুণের শেষ নেই। বহু প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ, চীনা এবং গ্রিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক বিজ্ঞানও স্বীকার করে নিয়েছে অ্যালোভেরার অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা। এর পুরু পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেল আজ বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্য ও চিকিৎসাক্ষেত্রে সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হচ্ছে ত্বকের যত্নে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে, রোদে পোড়া দাগ হালকা করে এবং ব্রণ ও অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। সংবেদনশীল বা জ্বালাভাবযুক্ত ত্বকে এটি তাৎক্ষণিক প্রশান্তি দেয়। এ কারণে অনেক প্রসাধন পণ্যে অ্যালোভেরা একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে ফেলতে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা হয়।
চুল ও স্কাল্পের যত্নে
চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে এবং মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে অ্যালোভেরা দারুণ কার্যকর। এটি চুল পড়া কমায়, খুশকি দূর করে এবং চুলে প্রাকৃতিক ঝলমলে ভাব আনতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয় মসৃণ, প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
হজমে সহায়ক
অ্যালোভেরা শুধু বাহ্যিক যত্নেই নয়, বরং শরীরের ভেতরেও অসাধারণ কাজ করে। এর রস হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন দূর করতে কার্যকর একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান হিসেবেও কাজ করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
অ্যালোভেরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরকে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, বি-কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য উপাদান, যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে।
সতর্কতা ও ব্যবহারবিধি
যে কোনো ভেষজ উপাদানের মতো অ্যালোভেরাও সঠিক নিয়মে এবং পরিমাণমতো ব্যবহার করা জরুরি। অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যাও হতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদে অ্যালোভেরা গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র ত বক র উপ দ ন দ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ