Samakal:
2025-09-18@02:49:34 GMT

পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-ভারত

Published: 20th, February 2025 GMT

পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয়েছে বুধবার। তবে বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আজ, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুরের পর মুখোমুখি হবে দুই দল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে ভারতের আধিপত্য স্পষ্ট। ওয়ানডে ফরম্যাটে দুই দলের ৪১ বার মুখোমুখি হওয়ার মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৮ ম্যাচে।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, তবে দুইবারই আগে ব্যাট করে হেরেছে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ২২২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা, যেখানে লিটন দাস করেছিলেন ১২১ রান। সেই ম্যাচে ভারত জয় পায় ৩ উইকেটে। এছাড়া ২০১৮ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ, ভারত ম্যাচটি জিতে নেয় ৮২ বল হাতে রেখেই। যদিও একই আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মুশফিকুর রহিম করেছিলেন ১৪৪ রান, যা এই স্টেডিয়ামে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস।

এই মাঠে মুশফিক সর্বমোট ১৭০ রান করেছেন ৩ ম্যাচে। লিটন দাস আছেন দ্বিতীয় স্থানে, ৩ ম্যাচে তার রান ১২৮। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ ম্যাচে করেছেন ৮৯ রান। বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মাশরাফী বিন মর্তুজা এই মাঠে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে এবারের দলে আছেন কেবল মুস্তাফিজ ও মিরাজ।

অন্যদিকে ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল বিরাট কোহলি। ১৬ ম্যাচে তিনি করেছেন ৯১০ রান, যেখানে আছে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফিফটি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোহিত শর্মা, যিনি ১৭ ম্যাচে ৭৮৬ রান করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে কেএল রাহুল ৬ ম্যাচে ২২৫ রান করেছেন, শুভমান গিল ২ ম্যাচে ১৭৪ রান করেছেন।

ভারতের বোলারদের মধ্যে রবীন্দ্র জাদেজা বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। জাসপ্রিত বুমরাহ ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট, মোহাম্মদ শামি ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন।

ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব আল হাসান (৭৫১ রান), যদিও তিনি এবারের স্কোয়াডে নেই। দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম (৭০৩ রান) ও তৃতীয় স্থানে তামিম ইকবাল (৫৯৬ রান), তিনিও নেই দলে। বোলিংয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব (২৯ উইকেট)। দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুস্তাফিজ (১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট) এবং তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের রেকর্ড ও দুই দলের পরিসংখ্যান বলছে, আজকের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ভালো করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর ছ ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর