ইংল্যান্ড সফরে শুভমান গিল যেন রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের নতুন এই ভারতীয় অধিনায়ক হেডিংলি আর এজবাস্টনে খেলেছেন স্বপ্নময় ইনিংস। দুই ম্যাচে করেছেন ৫৮৫ রান। গড় ১৪৬.২৫। যার মধ্যে রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি। ব্যাটে যেমন রাজত্ব, নেতৃত্বেও প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

কিন্তু এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাঝেই ঘটেছে এক বিপত্তি। যার জের ধরে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বিসিসিআই।

দ্বিতীয় টেস্টে, ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার আগে ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে নামেন গিল। কিন্তু তার পরনে ছিল নাইকির একটি কালো স্ট্রেচ টি-শার্ট। আর সেখানেই সমস্যা। কারণ, ভারতীয় দলের অফিসিয়াল কিট স্পন্সর অ্যাডিডাস।

আরো পড়ুন:

দ.

আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েতে যুবাদের ওয়ানডে মিশন

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান

২০২৩ সালের মে মাসে অ্যাডিডাস এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে হয় ২৫০ কোটি রুপির চুক্তি। যার মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত। এই চুক্তি অনুযায়ী, খেলোয়াড়রা ম্যাচ চলাকালীন কিংবা মাঠে সংলগ্ন সময়েও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের পোশাক পরতে পারেন না।

শুভমান গিলের ব্যক্তিগত চুক্তি আছে নাইকির সঙ্গে। তিনি সেই ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত। তবে জাতীয় দলের জার্সির বাইরে প্রকাশ্যে সেই পরিচয় তুলে ধরা চুক্তিভঙ্গের সামিল। বিশেষ করে মাঠে নামার মতো সময়ে।

বোর্ডের ধারণা, হয়তো তাড়াহুড়ার কারণেই নিয়মটি ভুলে গিয়েছিলেন গিল। তবে বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে না বিসিসিআই। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হতে পারে। এমনকি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস চাইলে চুক্তি বাতিল বা বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় বাজারে নিজেদের দাপট বজায় রাখতে অ্যাডিডাস হয়তো তাৎক্ষণিক কড়া পদক্ষেপ নেবে না। তবে গিল কিংবা বিসিসিআই দু’পক্ষকেই স্পষ্ট বার্তা দিতে পারে তারা।

এই একটি টি-শার্ট বদলে দিতে পারে ২৫০ কোটি রুপির চিত্র। বিসিসিআই এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি, যেখানে একজন ক্রিকেটারের পোশাক–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বোর্ডের আর্থিক নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে।

যদিও এখনই মারাত্মক কিছু ঘটেনি। তবে স্পন্সরশিপের মতো সূক্ষ্ম ও সংবেদনশীল বিষয়ে এ ধরনের ভুল যে ভবিষ্যতে বড় মূল্য চোকাতে পারে—তা নিঃসন্দেহে বিসিসিআই ও ক্রিকেটারদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এসব কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সিএনএনের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়বেন মন্ত্রণালয়ের সিভিল সার্ভিসের ১ হাজার ১০৭ কর্মকর্তা এবং ফরেন সার্ভিসের ২৪৬ কর্মকর্তা। এ ছাড়া এই পরিবর্তনের ফলে মন্ত্রণালয়ের শত শত কার্যালয় ও ব্যুরো বিলুপ্ত বা পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের চাকরিচ্যুত করা কর্মীদের পাশাপাশি যাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন, তাঁরাও রয়েছেন।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ২২ এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরটি অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খল করছে, যাতে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়।’

যেসব ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাকে শুক্রবার জনবল হ্রাসের নোটিশ দেওয়া হবে, তাঁদের ১২০ দিনের জন্য প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এরপর তাঁদের চাকরি মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। আর চাকরিচ্যুত হওয়া অধিকাংশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাকে প্রথমে ৬০ দিনের ছুটিতে রাখা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই কার্যকর হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ