বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি সহস্রাধিক পরিবার
Published: 10th, July 2025 GMT
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। শহরের বিভিন্ন এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার। ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের, পুকুর ও ফসলি জমির বীজতলা।
সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বাগেরহাট শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও ঘনবসতিপূর্ণ অনেক এলাকা। নিম্নআয়ের পরিবারে রান্না থেকে শুরু করে শিশুদের স্কুলে যাওয়াসহ সবকিছুতেই নেমেছে অচলাবস্থা।
রামপাল উপজেলার চাকশ্রী গ্রামের চিংড়ি চাষি আবু হুরায়রা বলেন, আমার সাত বিঘা ঘেরে চিংড়ির পোনা ছিল। হঠাৎ পানি বেড়ে গিয়ে সব ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে।
একই এলাকার চিংড়ি ঘের মালিক হারুন শেখ বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি বাড়তে বাড়তে সব ঘেরের পাড় ভেঙে গেছে। প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার পোনা কিনে ঘের তোলার সামর্থ্য নেই।
পৌরশহরের খারদ্দার এলাকার পানি বন্দি গৃহবধূ রুনা বেগম বলেন, ঘরের ভেতর পানি উঠে গেছে। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
যাত্রাপুর এলাকার বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ বয়সে হাঁটু পানি পার হয়ে বাজারে যাওয়া যায় না। পায়ে ব্যথা আছে, তাই ঘরেই আটকে পড়েছি। কেউ সহায়তা করলে তবেই বাজার করতে পারি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোতাহার হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলে আমনের বীজতলা ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।
অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।
ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।
কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।