পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, বায়ুমণ্ডল এবং বিকিরণ থেকে সুরক্ষা– সবকিছুই মানবদেহের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য উপযোগী। এমন ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ না থাকায় মহাকাশ ভ্রমণকালে নভোচারীদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাইক্রোগ্রাভিটি, উচ্চশক্তির বিকিরণের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে মহাকাশচারীদের দেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র আমাদের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশচারীকে সরাসরি এই উচ্চশক্তির বিকিরণের মুখোমুখি হতে হয়। এর ফলে তাদের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। স্নায়বিক সমস্যা ও হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে।
মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব থাকায় মাধ্যাকর্ষণের অভাবে নভোচারীর শরীরে থাকা তরল মাথার দিকে উঠে যায়, ফলে মুখ ফোলা দেখায় ও চোখের ভেতরে চাপ বাড়ে, যার কারণে কমে যায় দৃষ্টিশক্তি। একইভাবে কমে যায় হাড়ের ঘনত্ব। তাতে কমে যায় পেশির কার্যকারিতা। মহাকাশচারীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হয় মানসিক। দীর্ঘ সময় মহাকাশ স্টেশনের সীমিত স্থানে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করায় মানসিক চাপ, অনিদ্রা, মস্তিষ্কের দুর্বলতাসহ নানা মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন নভোচারীকে। রয়টার্স।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।