সৃজনে-মননে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশজুড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজ করে চলেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। সুহৃদদের ভালো কাজের মূল্যায়ন ও অনুপ্রেরণা জোগাতে ২০২৩-২৪ সালে পরিচালিক কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে জেলা, উপজেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চার ইউনিটকে ‘সেরা সুহৃদ’ ঘোষণা এবং পুরস্কৃত করা হয়েছে।
নির্বাচিত চার সুহৃদ ইউনিট হলো– সেরা জেলা– পটুয়াখালী ও রাজবাড়ী (যুগ্মভাবে), উপজেলা– পাবনার ঈশ্বরদী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; ঢাকার অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়। বিজয়ী চার ইউনিটের প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক, সম্মানী ও উপহার তুলে দেন সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার শাহাদাত হোসেন পরশ, মফস্বল সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক হাসান জাকির প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক আসাদুজ্জামান। বিজয়ীদের মধ্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পটুয়াখালী সুহৃদের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদা আক্তার রিমি, রাজবাড়ী সুহৃদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি, উপদেষ্টা ডা.

সাহেদ ইমরান, সভাপতি ঈশ্বরদীর আব্দুল আলিম বিশ্বাস এবং এডাস্ট সুহৃদের উপদেষ্টা শারমিন আকতার।

সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী বলেন, নতুন সময়ে নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। তরুণরাই আগামী দিনের পথ নির্মাণ করবে। সমাজের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার পথ খুঁজতে হবে। তরুণদের এমন কাজে সম্পৃক্ত করার পেছনে আমাদের উদ্দেশ্য, তারা সমাজের জন্য ভালো কাজ করবে এবং নতুনদের সেই পথে নিয়ে আসবে।
আবু সাঈদ খান বলেন, সংগঠন হলো তারুণ্যের মিলনমেলা। এখান থেকে নেওয়ার আছে, তেমনি দেওয়ার আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঙ্তির মতো– দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে। সংগঠনের মাধ্যমে ভালো কবি, লেখক ও সংগঠক তৈরি হতে পারে। দেশ ও মানুষের সমৃদ্ধির জন্য সংগঠন চর্চার জরুরি।

শরীফুল ইসলাম বলেন, সুহৃদরা সমকাল পরিবারের সদস্য। আমাদের সামর্থ্য অল্প, কিন্তু প্রত্যাশা অনেক। আপনাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আমরা যে কোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে আছি।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পাশাপাশি ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, পুরান ঢাকা, টঙ্গী, মিরপুর, মহাখালী, তিতুমীর কলেজসহ ঢাকার সুহৃদরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর সুহৃদ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভায় ২০২৩-২৪ সালের কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে সেরা সুহৃদ ইউনিট নির্বাচন ও পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা, উপজেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ‘সেরা সুহৃদ নির্বাচন’ উপকমিটি করা হয়। কমিটির বিবেচনায় চার ইউনিটকে নির্বাচন করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ক ত কর সমক ল ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ

২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি উত্থাপনের কথা রয়েছে। বৈঠকে অনুমোদন হলে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় একসঙ্গে দুই কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ গতকাল শুক্রবার তার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকের এ তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের এ বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পেয়ে যাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে হতে পারে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ বলেছিল, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে এ ঋণ কর্মসূচি। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া—মূলত এ তিন কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিলসহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাওয়া যায়নি। আইএমএফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। প্রায় প্রতিবছর ওয়াশিংটনসহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে বড় ধরনের তুষারপাত হয়। গত বছরও তাই হয়েছে। অতিমাত্রার বরফের কারণে অচল হয়ে যায় জনজীবন। মার্কিন প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করে। তুষারপাতের কারণে আইএমএফসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল অনেক দিন।

পরে আইএমএফের পক্ষ থেকে প্রথমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও পরে মার্চে পর্ষদ বৈঠকের কথা বলা হয়। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি দল পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসে দুই সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে শর্ত পরিপালন নিয়ে দর–কষাকষিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তখন দর-কষাকষি হচ্ছিল মূলত মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে। আইএমএফ তা চাইলেও করতে চাইছিল না সরকার।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় ও বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পর্ষদ বৈঠকে অনুমোদন হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মাথায় আইএমএফ অর্থ ছাড় করে দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে তিন গুণ
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • শাহরুখের পারিশ্রমিক ৪২৩ কোটি টাকা!
  • অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
  • ইরানকে পরমাণু জগতে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েলই
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ
  • সামরিক শক্তিতে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে কে এগিয়ে  
  • চার দেশের পাঁচ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ
  • চার দেশের পাঁচ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার নির্দেশ