ডিএনসিসির ‘ঈদ আনন্দ উৎসব’, থাকছে ঈদের জামাত, আনন্দমিছিল, মেলা ও অনুষ্ঠান
Published: 30th, March 2025 GMT
নগরবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদের জামাতসহ এ উৎসব আয়োজনে থাকছে ঈদ আনন্দমিছিল, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও। এ আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটির ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাত হবে। জামাত শেষে মাঠ থেকেই শুরু হবে ঈদ আনন্দমিছিল। মিছিলটি আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক হয়ে খামারবাড়ি মোড় দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শেষ হবে। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে সেমাই ও মিষ্টির ব্যবস্থা।
এ ছাড়া আনন্দ উৎসবের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ঈদের দিন এবং পরদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ১০০টি স্টলের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নাগরদোলা ও অন্য খেলার সরঞ্জাম থাকবে।
ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের জামাতে মূল ইমামতি করবেন কারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট ও নামাজের বিছানা। সব মিলিয়ে ঈদের দিন ওই মাঠে একসঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশের একটি সারির বেশির ভাগ জায়গা বরাদ্দ রাখা হবে নারীদের নামাজের জন্য।
মাঠে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন অংশে ছয়টি ফটক থাকবে। ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের সদস্যরা। প্যান্ডেলের দুই পাশে একসঙ্গে ১০০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার পানির ট্যাংক রাখা থাকবে। ঈদের জামাতের জন্য মোট ১২ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম ও ১০০টি মাইক ব্যবহার করা হবে। জামাতে অংশ নিতে যাঁরা ব্যক্তিগত যানবাহনে আসবেন, তাঁদের গাড়ি রাখা যাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কিংবা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। ২৯ মার্চ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদ র জ ম ত ঈদ আনন দ অন ষ ঠ র জন য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
একজন বাবা তার সন্তানকে সুখী করার জন্য কত কিছুই না করেন। এইতো কয়েকদিন আগে এক বাবা তার আয়ের প্রায় সবটুকু জমিয়ে সন্তানের জন্য সাইকেল কিনে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নিজের কাছে বাসের টিকিট কেনারও টাকা ছিলো না। অগত্যা বাবা সন্তানের জন্য কেনা সাইকেল চালিয়ে শত শত মাইল দূরের বাড়ির দিকে রওনা করেছিলেন।– এমন কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমরা সব সময় সব খবর পাই না। বাবারা আমাদের সুপারহিরো। বাবাকে সুখী করার জন্য আমরাও ছোট ছোট অনেক কিছুই করতে পারি।
বাবার শৈশবের গল্পটা আজ শুনতে পারেন: আজ বাবা দিবস। এ দিবসে আপনি আপনার বাবার শৈশব সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। একটি প্রশ্নই আপনার বাবাকে তার রঙিন শৈশবের দিকে ফিরিয়ে দেবে। এটা সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু গল্প ভাগাভাগি করার সময় আপনিও সেই গল্পের পার্ট হয়ে উঠতে পারবেন। বাবাকে জিজ্ঞাসা করুন ছোটবেলায় তার প্রিয় জিনিসগুলো কেমন ছিলো, সেগুলো কি কি, এখনও বাবা কোন স্মৃতিগুলো লালন করেন সেই সব কিছু জানতে পারেন। এই প্রশ্ন-উত্তরের মুহূর্তগুলো আপনাদের সম্পর্ক সুন্দর করে তুলবে।
বাবার সাথে গাছ লাগাতে পারেন: বাবা দিবস এমন একটি সময়ে আসে, যখন প্রকৃতিতে বৃষ্টি থাকে। সময়টা গাছ লাগানোর জন্য একেবারে উপযুক্ত। এই দিনে বাবার সঙ্গে গাছ লাগাতে পারেন। বাগান থাকলে বাবার সঙ্গে বাগান পরিচর্যা করতে পারেন। গাছের যত্ন নিন, গাছ সম্পর্কে কথা বলুন। দেখবেন সময়টা উপভোগ্য হয়ে উঠছে।
বাবার প্রিয় মিষ্টি উপহার দিন: বাবার দিনটি মিষ্টি করে তুলতে তার প্রিয় মিষ্টি উপহার দিতে পারেন। নিজেই বাবার জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন কেক, কুকিজ, পুডিং, মৌসুমী ফলের শরবত।
বিকেলটা একসঙ্গে উপভোগ করুন: বাবার সঙ্গে বিকেলের শান্ত প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন। বাবার সঙ্গে আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা বিকেল কাটান।
বাবার প্রিয় খাবারের আয়োজন থাকুক ডিনারে: রাতের খাবারের আয়োজনটি বাবার জন্য বিশেষ করে তুলুন। হয়তো আপনার বাবার এমন কোনো প্রিয় খাবার আছে, সেই খাবার রান্নার চেষ্টা করুন। পরিবেশনায় আলাদা নৈপূন্য যোগ করুন।
বাবার সঙ্গে প্রকৃতির শান্ত মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন: বাবার সাথে প্রকৃতির শান্ত মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য দূরবীন ব্যবহার করতে পারেন। বারান্দা বা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দূরবীন দিয়ে দূরের পাখি ওরা দেখতে পারেন। আপনি আর আপনার বাবা একসঙ্গে কোনো পার্কে বা বনের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন। একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে গল্প বলতে পারেন।
শুধু বাবা দিবসে নয় বছরের অন্যান্য দিনগুলোতেও বাবারা তার সন্তানের কাছ থেকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, মনোযোগ আর প্রাপ্য সম্মানটুকু পাক।
ঢাকা/লিপি