কোলাহলের ঢাকার রাস্তা ফাঁকা, তবে বিপণিকেন্দ্রে ভিড়
Published: 30th, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। অফিস-আদালত সব বন্ধ। ছুটিতে চিরচেনা রাজধানী ঢাকা যেন বদলে গেছে। যানজট, কোলাহল আর ব্যস্ততার এই শহর এখন ফাঁকা, অনেকটাই নীরব। জীবিকার প্রয়োজনে শহরে থাকা মানুষদের অনেকেই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনে চলে গেছেন গ্রামে। এতে নগরীর প্রধান সড়কগুলোয় যানবাহনের চাপ নেই। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোও ফাঁকা হয়ে আছে। তবে শহরের সড়ক ফাঁকা থাকলে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার জন্য বিপণিকেন্দ্রে ভিড় লক্ষ করা গেছে।
আজ রোববার সকালে ও দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, কাকরাইল মোড়, ফকিরাপুল, আরামবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল খুবই কম। সড়কেও যাত্রীবাহী বাস বা ব্যক্তিগত গাড়ি খুব একটা দেখা যায়নি।
শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফিরছেন অনেকেই। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।