চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, “সারা বিশ্বের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যে কারণে তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সম্প্রতি শীতল আচরণ করছে।”

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইলে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ অফিসের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা প্রসঙ্গে মুসলিম বিশ্বের নীরব বা বক্তব্যনির্ভর ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। সেই তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ সমাবেশে অনেক বেশি মুখর। ধারাবাহিকভাবে যার প্রভাব পড়ছে ইসরায়েলি হানাদারদের ওপর।”

এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন ইসরায়েলক দ্রুত গাজায় নৃশংসতা ও শিশু হত্যা বন্ধের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশের পর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সদস্যরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত হেঁটে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা আবারও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম খান ও কামাল হোসেন খান, দপ্তর সম্পাদক মো.

রোকনুজ্জামান রোকন, নির্বাহী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও মো. শফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সাধারণ সদস্য নজরুল ইসলাম ফয়সাল, আব্দুল মান্নান ফিরোজ, সাভার উপজেলা শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাভার পৌর শাখার সভাপতি শাহ আলী রাজিব, ধামরাই উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জামাল হোসেন মন্ডল।

সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানান।

সমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গাজায় যে নৃশংসতা চলছে তা মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা আমাদের গভীরভাবে হতাশ করেছে।”

সমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন, “ফিলিস্তিন জাতি ইনশাআল্লাহ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। এই গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে ততদিন ওই ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। দরকার পুরো মুসলিম বিশ্বের এক হওয়া এবং বর্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’

‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।

ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রী

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ