ফিলিস্তিন প্রশ্নে মুসলিম বিশ্বের ভূমিকা হতাশাজনক: ইলিয়াস কাঞ্চন
Published: 10th, April 2025 GMT
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, “সারা বিশ্বের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যে কারণে তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সম্প্রতি শীতল আচরণ করছে।”
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইলে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ অফিসের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা প্রসঙ্গে মুসলিম বিশ্বের নীরব বা বক্তব্যনির্ভর ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। সেই তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ সমাবেশে অনেক বেশি মুখর। ধারাবাহিকভাবে যার প্রভাব পড়ছে ইসরায়েলি হানাদারদের ওপর।”
এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন ইসরায়েলক দ্রুত গাজায় নৃশংসতা ও শিশু হত্যা বন্ধের দাবি জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশের পর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সদস্যরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত হেঁটে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা আবারও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম খান ও কামাল হোসেন খান, দপ্তর সম্পাদক মো.
সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানান।
সমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গাজায় যে নৃশংসতা চলছে তা মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা আমাদের গভীরভাবে হতাশ করেছে।”
সমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন, “ফিলিস্তিন জাতি ইনশাআল্লাহ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। এই গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে ততদিন ওই ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। দরকার পুরো মুসলিম বিশ্বের এক হওয়া এবং বর্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা।”
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় বন্ধ নেই ইসরায়েলের হামলা, ২৪ ঘন্টায় ৪১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা
ইরানে হামলার পাশপাশি অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি গুলি ও বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত দুটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে নিহত হয়েছেন।
মধ্য গাজা উপত্যকার আল-আওদা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নেতজারিম করিডোরের কাছে একটি জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি গুলিতে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। দক্ষিণে রাফাহের আরেকটি সাহায্য কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আরো দুজন নিহত হয়েছেন।
ছিটমহলের উত্তরে বেইত লাহিয়া শহরে একটি বিমান হামলায় আরো সাতজন নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজা উপত্যকার নুসাইরাত শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বাড়িতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। বাকিরা দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় পৃথক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় তিন মাসের অবরোধ আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার পর মে মাসের শেষের দিকে গাজায় খাদ্য প্যাকেজ বিতরণ শুরু করে জিএইচএফ। খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টাকালে প্রায় প্রতিদিনই গণহারে গুলিবর্ষণে অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ