সুন্দরবনে মো. বিল্লাল হোসেন (৩৩) নামের এক বনদস্যুকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। এ সময় তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের শিবসা ফরেস্ট অফিস-সংলগ্ন মুচির দোয়ানি এলাকায় বনের ভিতরে অভিযান চালিয়ে বিল্লালকে আটক করা হয়। বিল্লাল আনারুল বাহিনীর সদস্য। তার বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলায়।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের শিবসা ফরেস্ট অফিস-সংলগ্ন মুচির দোয়ানি এলাকায় বনদস্যু আনারুল বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে বনের ভিতরে অভিযান চালিয়ে মো.
জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আনারুল বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতেন তিনি।
বিল্লালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে খুলনার দাকোপ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ
জীব ও প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বনজীবী থেকে শুরু করে পর্যটক, কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।
গত শুক্রবার তারা ভ্রমণে যান। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এডিসি পদমর্যাদার একজনের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছ থেকে ১০ জনের অনুমতি মেলে। ওই দলে তিনি যুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে ট্রলারে উঠে পড়েন। এ সময় তাদের আর নামিয়ে দেওয়া যায়নি।
উপসচিব বা তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে যাওয়া উচিত ছিল কিনা– জানতে চাইলে আমিনুর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলার তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’ কথা বলার জন্য ওই উপসচিবের নাম ও যোগাযোগ নম্বর চাইলে তিনি দেননি।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের জিয়াউর রহমান বলেন, এক উপসচিবের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে ১০ জনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি চাওয়া হয়। অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই সঙ্গে কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির সুন্দরবনে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন আবদারে তারা অসহায় হয়ে পড়েন।