রাষ্ট্র গঠনে মৌলিক জায়গায় সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে: আলী রীয়াজ
Published: 4th, May 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
রবিবার (৪ মে) রাজধানীর সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে ১২ দলীয় জোটের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আলোচনার সূচনায় বলেন, “শুধু এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছাতে পারব, এটা আমি মনে করিনা। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কেবল কমিশনেরও নয়, বরং রাজনৈতিক দল, সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ঐকমত্য কমিশন এক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।”
তিনি আরো বলেন, “যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, শুধুমাত্র সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে৷ এজন্য প্রতিটা পক্ষকেই কিছু ছাড় দেওয়ার মানসিকতাও রাখতে হবে।”
আলোচনায় ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তাফা জামাল হায়দার এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আরো শাহাদাত হোসেন সেলিম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, রাশেদ প্রধান, লায়ন ফারুক রহমান, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাওলানা আব্দুল রাকিব, আবুল কাশেম, ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন এবং এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ১২ দলীয় জোটসহ এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
ঢাকা/এএএম/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ঐকমত য
এছাড়াও পড়ুন:
দু–একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে: নুরুল হক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে দু-একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান দু–একটি দলের নেতৃত্বে হয়নি, সুতরাং কোনোভাবেই দু-একটি দল কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি মহলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।
আওয়ামী লীগের দোসর ছিল এমন রাজনৈতিক দলও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানদের মারফতে তদবির করে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ নুরুল হক নুরের। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা প্রশ্ন তুলেছি এবং পরবর্তী মিটিংয়ে এ বিষয়ে একটা সমাধান চাইব।
...তারা যদি এখানে আসে এটা জুলাইয়ের প্রতি অবমাননা। শহীদদের সাথে বেইমানি।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষের ৫০০ সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের মেয়ররাসহ মোট ৫৭৬ জনের গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতির বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। তবে এ বিষয় নিয়ে এখনো আলোচনা চলমান। আরেকটি প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদকেও অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এতে ৫৭৬ ভোটের বাইরে আরও ৭০ হাজার অতিরিক্ত ভোট যুক্ত হবে।