লিওনেল মেসি টানা তিন ম্যাচ ছিলেন গোলহীন। তার দল ইন্টার মায়ামিও তিন ম্যাচেই হেরেছিল। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) শনিবার (৩ মে) গোল পেলেন মেসি, তার দল মায়ামিও ৪-১ ব্যবধানে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে জিতল।
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এই রেড বুলসের বিপক্ষে এই জয় ছিল মায়ামির মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রেখেছে। তারা কনকাকাফের সেমিফাইনালের দুই লেগে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের বিপক্ষে এবং এমএসএসে ডালাসের বিপক্ষে হেরেছিল টানা।
চেজ স্টেডিয়ামে খেলার নবম মিনিটে ফাফা পিকোল্ট গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে দেন। মার্সেলো ওয়েইগান্টের ক্রসে লুইস সুয়ারেজ হেড করেন, যেটি পিকোল্ট গোলরক্ষকের পেছনের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন। এরপর ৩০তম মিনিটে ওয়েইগান্ট নিজেই গোল করেন। তার ডাইভিং হেডার প্রথমে কার্লোস কোরোনেল ঠেকিয়ে দেন, কিন্তু ফিরতি বলটি পেয়েই ওয়েইগান্ট ক্ষীপ্রতার সাথে জালে পাঠিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
মেসিকে নিয়েই এশিয়া-আফ্রিকা সফরে আসছে আর্জেন্টিনা
মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
দ্বিতীয় গোলের নয় মিনিট পরে সুয়ারেজ ব্যবধান ৩-০ করেন। তার নেওয়া শট প্রথমে ব্লক হয়। তবে দ্বিতীয় চেষ্টায় উরুগুয়ান স্ট্রাইকার গোল করতে ভুল করেননি। বিরতির আগে রেড বুলস একটি গোল শোধ দেয়। ওমার ভ্যালেন্সিয়ার কর্নার কিক গোলরক্ষক অস্কার উস্তারির মাথার ওপর দিয়ে সরাসরি জালে প্রবেশ করে।
দ্বিতীয়ার্ধে মায়ামি আর কোন ছাড় দেয়নি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে মেসি নিজের নাম স্কোরশিটে তোলেন। আর্জান্টাইন মহাতারকা সতীর্থ তেলাস্কো সেগোভিয়ার সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে প্রতিপক্ষ নোয়া এলেকে কাটিয়ে বাম পায়ে গোল করেন। পাঁচ ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন মেসি।
এই জয়ে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে ইন্টার মায়ামি। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। এছাড়া ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে কলম্বাস ক্রু, সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ফিলাডেলফিয়া।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।
বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’