দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ট্রফি-খরা শেষ করে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন হ্যারি কেইন। জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই বুন্দেসলিগা শিরোপা জিতে স্বাদ নিলেন বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের। রোববার (৪ মে) বায়ার লেভারকুজেন ও ফ্রাইবুর্গের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিরোপা নিশ্চিত হয় বায়ার্ন মিউনিখের।

দুই সপ্তাহ আগেই বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম ৬০ ম্যাচে ৬০ গোল করে রেকর্ড গড়েছেন কেইন। এবার ইতিহাসে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি। যদি টানা দুই মৌসুমেই অভিষেক বছরেই হন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা, তবে তিনিই হবেন প্রথম।

সোমবার এক ভিডিও বার্তায় উচ্ছ্বসিত হ্যারি কেইন বলেন, “গত রাতটা ছিল অসাধারণ। খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে উদযাপনটা ছিল দারুণ উপভোগ্য। আজ সকালে হয়তো সবারই একটু ক্লান্ত লাগছে, কিন্তু আমরা ঠিক আছি!”

আরো পড়ুন:

ইন্টার-বার্সা সেমিফাইনালে ফিরে আসছে ২০১০ সালের স্মৃতি

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির সমঝোতা

“অনুভূতিটা সত্যিই দুর্দান্ত। এই মুহূর্তটির জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার ফল এটা—আমার ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রফি বলে এর স্বাদ আরও বেশি মধুর।”

 “সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন সবসময় আমার চোখে পড়ে, হারিয়ে যায় না। এখন অপেক্ষায় আছি শনিবার (১০ মে) অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ভক্তদের সামনে উদযাপন করার। তারপর, চোখ থাকবে পরের ট্রফির দিকে—আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘ট্রফি নাম্বার টু’।”

টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়ার পর থেকেই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন কেইন। ক্লাব ও দেশের হয়ে এরই মধ্যে ৪০০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা, আর প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে আছেন দ্বিতীয় স্থানে, কেবল অ্যালান শিয়ারার এগিয়ে রয়েছেন তার চেয়ে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পান্ডিয়ার রানআউট মিসে শেষ বলে জিতে সবার ওপরে গিলের গুজরাট

১ বলে ১ রান।

মাত্রই উইকেটে যাওয়া আরশাদ খান দীপক চাহারের করা বলটিকে মিড অফ ফিল্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে ঠেলেই পড়িমরি করে দৌড় লাগালেন। পান্ডিয়ার থ্রো ভাঙতে পারেনি নন স্ট্রাইকার প্রান্তের উইকেট। আর তাতে ১ রান পূর্ণ করেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে গুজরাট টাইটানসকে ৩ উইকেটে জয় এনে দিলেন আরশাদ।

১১তম ম্যাচে পাওয়া অষ্টম এই জয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল শুবমান গিলদের গুজরাট। অন্যদিকে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেয়ে মুম্বাই নেমে গেলে চারে (১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট)।

ওয়াংখেড়ে দুবার বৃষ্টির কারণে বন্ধ হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিক মুম্বাই করেছিল ৮ উইকেটে ১৫৫ রান। রান তাড়ায় দুবার বৃষ্টির বাধায় পড়া গুজরাট যখন শেষবার আবার ব্যাটিংয়ে নামল দলটির লক্ষ্য ১৯ ওভারে ১৪৭ রানের। যার অর্থ ১ ওভারে দলটির দরকার ১৫ রান।

সেই ওভারটি করলেন দীপক চাহার। ভারতীয় পেসারের প্রথম ৩ বলে ১টি করে চার-ছক্কা মেরে রাহুল তেওয়াতিয়া ও জেরাল্ড কোয়েৎজি ৩ বলে ৪ বানিয়ে ফেলেন সমীকরণটাকে। পরের বলটা হলো নো বল, ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে নিলেন ১ রান। তাতে ৩ বলে ২ রানের হিসাব গুজরাটের। ফ্রি হিটে তেওয়াতিয়া ১ রান নেওয়ার পর আবার নাটক। এবার বল আকাশে তুলে আউট কোয়েৎজি। আর তাতেই সমীকরণটা হয়ে যায় ১ বলে ১ রানের। এরপর পান্ডিয়ার সেই রানআউট মিস। তাতে সুপার ওভারের নাটকে গড়াতে পারল না ম্যাচটি।

শেষ বলে রানআউট মিস করে হতাশ মুম্বাই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ