হ্যারি কেইনের নজর এবার দ্বিতীয় ট্রফিতে
Published: 6th, May 2025 GMT
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ট্রফি-খরা শেষ করে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন হ্যারি কেইন। জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই বুন্দেসলিগা শিরোপা জিতে স্বাদ নিলেন বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের। রোববার (৪ মে) বায়ার লেভারকুজেন ও ফ্রাইবুর্গের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিরোপা নিশ্চিত হয় বায়ার্ন মিউনিখের।
দুই সপ্তাহ আগেই বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম ৬০ ম্যাচে ৬০ গোল করে রেকর্ড গড়েছেন কেইন। এবার ইতিহাসে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি। যদি টানা দুই মৌসুমেই অভিষেক বছরেই হন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা, তবে তিনিই হবেন প্রথম।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় উচ্ছ্বসিত হ্যারি কেইন বলেন, “গত রাতটা ছিল অসাধারণ। খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে উদযাপনটা ছিল দারুণ উপভোগ্য। আজ সকালে হয়তো সবারই একটু ক্লান্ত লাগছে, কিন্তু আমরা ঠিক আছি!”
আরো পড়ুন:
ইন্টার-বার্সা সেমিফাইনালে ফিরে আসছে ২০১০ সালের স্মৃতি
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির সমঝোতা
“অনুভূতিটা সত্যিই দুর্দান্ত। এই মুহূর্তটির জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার ফল এটা—আমার ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রফি বলে এর স্বাদ আরও বেশি মধুর।”
“সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন সবসময় আমার চোখে পড়ে, হারিয়ে যায় না। এখন অপেক্ষায় আছি শনিবার (১০ মে) অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ভক্তদের সামনে উদযাপন করার। তারপর, চোখ থাকবে পরের ট্রফির দিকে—আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘ট্রফি নাম্বার টু’।”
টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়ার পর থেকেই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন কেইন। ক্লাব ও দেশের হয়ে এরই মধ্যে ৪০০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা, আর প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে আছেন দ্বিতীয় স্থানে, কেবল অ্যালান শিয়ারার এগিয়ে রয়েছেন তার চেয়ে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার যমুনা সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে এবার যমুনা সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তাঁরা যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ২১টি জেলার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা। এক ঘণ্টা পর বেলা একটার দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে ছয় ঘণ্টা উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের সামনে রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন তাঁরা। এতে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। গতকাল বেলা তিনটার দিকে আজকের যমুনা সেতুর পশ্চিমে মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন।
গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের মধ্য দিয়ে ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েক দিন ধরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে পথনাটক, শেকল ভাঙার গান ও প্রতীকী ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এরপরও সাড়া না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মানববন্ধন ও রোববার মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। গতকাল রেলপথ অবরোধের পর আজ যমুনা সেতুর পশ্চিমে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
আজ দুপুরে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করে দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে এক শিক্ষার্থীকে কাফনের কাপড় পরে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আজ দুপুরে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় এক শিক্ষার্থীকে কাফনের কাপড় পরে স্লোগান দিতে দেখা যায়