খুলনায় রোটারি স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী: ‘বন্ধুদের দেখে মনে হচ্ছে, আবার ছেলেবেলায় ফিরে গেছি’
Published: 2nd, October 2025 GMT
কেউ পুরোনো সহপাঠীকে জড়িয়ে ধরছেন, কেউ আবার নেচেগেয়ে মেতে উঠেছেন আনন্দে। ব্যাচভেদে নিজেদের সাল ধরে চিৎকার করে উপস্থিতি জানাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকালেই শত শত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে খুলনার খালিশপুরের রোটারি স্কুল প্রাঙ্গণ উৎসবে মুখর হয়ে ওঠে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সুবর্ণজয়ন্তীর মূল আয়োজন। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি খালিশপুর গাবতলা থেকে পৌরসভা মোড় হয়ে আবার স্কুল প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। পথে ছিল উল্লাস আর হাসির রোল। প্রাক্তনদের ভিড়ে যেন অতীত ও বর্তমান পাশাপাশি হাঁটছিল।
এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। পরে কেক কাটা, ‘আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন’ শীর্ষক আলোচনা, মুক্ত আলাপ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানজুড়ে প্রাক্তনদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে বহু বছর পর দেখা হওয়ায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। কেউ সাদা চুলে হাত বুলিয়ে বলছিলেন, ‘সময় কত দ্রুত চলে গেল!’ কারও চোখে ঝিলিক দিচ্ছিল কিশোর বয়সের উচ্ছ্বাস। কেউ ব্যবসা কিংবা চাকরির ব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন শুধু পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য।
২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী সালেহীন আহমেদ (রোমেল) বলেন, ‘এত দিন পর পুরোনো বন্ধুদের একসঙ্গে দেখে আনন্দে কী করব, বুঝতে পারছি না। আমরা এখন ব্যস্ত জীবনে আছি। আমি লন্ডনে আমার ব্যবসা রেখে এসেছি শুধু এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। চুল পেকে গেছে আমাদের। কিন্তু বন্ধুদের দেখে মনে হচ্ছে, আবার সেই ছেলেবেলায় ফিরে গেছি।’
স্মৃতির টান, বন্ধুদের হাসি ও প্রাঙ্গণে ভেসে আসা পরিচিত কণ্ঠ—সব মিলিয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম দিনটি ছিল এক অপূর্ব পুনর্মিলনের দিন। আগামীকাল শুক্রবারও চলবে এ আয়োজন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই দুই দিনের অনুষ্ঠান ঘিরে যে আবহ তৈরি হয়েছে, তা শুধু সুবর্ণজয়ন্তীর নয়, আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে এক অমূল্য স্মৃতি হয়ে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মিলনমেলা রোটারি স্কুলের ইতিহাসে হয়ে থাকবে স্মরণীয় একটি অধ্যায়।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় রোটারি স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী: ‘বন্ধুদের দেখে মনে হচ্ছে, আবার ছেলেবেলায় ফিরে গেছি’
কেউ পুরোনো সহপাঠীকে জড়িয়ে ধরছেন, কেউ আবার নেচেগেয়ে মেতে উঠেছেন আনন্দে। ব্যাচভেদে নিজেদের সাল ধরে চিৎকার করে উপস্থিতি জানাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকালেই শত শত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে খুলনার খালিশপুরের রোটারি স্কুল প্রাঙ্গণ উৎসবে মুখর হয়ে ওঠে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সুবর্ণজয়ন্তীর মূল আয়োজন। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি খালিশপুর গাবতলা থেকে পৌরসভা মোড় হয়ে আবার স্কুল প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। পথে ছিল উল্লাস আর হাসির রোল। প্রাক্তনদের ভিড়ে যেন অতীত ও বর্তমান পাশাপাশি হাঁটছিল।
এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। পরে কেক কাটা, ‘আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন’ শীর্ষক আলোচনা, মুক্ত আলাপ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানজুড়ে প্রাক্তনদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে বহু বছর পর দেখা হওয়ায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। কেউ সাদা চুলে হাত বুলিয়ে বলছিলেন, ‘সময় কত দ্রুত চলে গেল!’ কারও চোখে ঝিলিক দিচ্ছিল কিশোর বয়সের উচ্ছ্বাস। কেউ ব্যবসা কিংবা চাকরির ব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন শুধু পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য।
২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী সালেহীন আহমেদ (রোমেল) বলেন, ‘এত দিন পর পুরোনো বন্ধুদের একসঙ্গে দেখে আনন্দে কী করব, বুঝতে পারছি না। আমরা এখন ব্যস্ত জীবনে আছি। আমি লন্ডনে আমার ব্যবসা রেখে এসেছি শুধু এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। চুল পেকে গেছে আমাদের। কিন্তু বন্ধুদের দেখে মনে হচ্ছে, আবার সেই ছেলেবেলায় ফিরে গেছি।’
স্মৃতির টান, বন্ধুদের হাসি ও প্রাঙ্গণে ভেসে আসা পরিচিত কণ্ঠ—সব মিলিয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম দিনটি ছিল এক অপূর্ব পুনর্মিলনের দিন। আগামীকাল শুক্রবারও চলবে এ আয়োজন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই দুই দিনের অনুষ্ঠান ঘিরে যে আবহ তৈরি হয়েছে, তা শুধু সুবর্ণজয়ন্তীর নয়, আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে এক অমূল্য স্মৃতি হয়ে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মিলনমেলা রোটারি স্কুলের ইতিহাসে হয়ে থাকবে স্মরণীয় একটি অধ্যায়।’