‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
Published: 7th, May 2025 GMT
ভারতকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যায়িত করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তারা পাকিস্তানের ভেতরে পাঁচটি জায়গায় ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে। এই ঘৃণ্য আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপ শাস্তি ছাড়া পার পাবে না।
ভারত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘কোনো উসকানি ছাড়া ভারতের এই হামলার সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের আছে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে।’
পুরো দেশবাসী সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের মনোবল ও সংকল্প অটুট রয়েছে। পাকিস্তানের সাহসী কর্মকর্তা ও সেনাদের জন্য আমাদের দোয়া ও শুভ কামনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, আমাদের শক্তি ও সংকল্পের জন্য যে হুমকি মোকাবিলা ও সেটাকে পরাজিত করার জন্য পাকিস্তানের জনগণ ও এর বাহিনীগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।’
‘শত্রুপক্ষ কখনো তার কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে দেওয়া হবে না,” বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
হামলায় কেঁপে উঠে মুজাফফরাবাদ, পাহাড়ের দিকে ছোটেন সবাই
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশপাশের পাহাড়গুলোর দিকে ছুটে যান।
হামলার সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা দিয়ে রয়টার্সকে স্থানীয়রা জানান, চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল, ভূমি কেঁপে উঠছিল। তখন মসজিদের মাইকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
৪৬ বছর বয়সী বাসিন্দা মুহাম্মদ শায়ের মীর বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসি। পরে আরও বিস্ফোরণ হয়। পুরো ঘর কেঁপে উঠছিল। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমরা বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যাই।
মুজাফফরাবাদের বাসিন্দা শায়ের মীর বলেন, হামলার পর তিনি ও তার পরিবার চার ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে কাটিয়েছেন। তার কিছু প্রতিবেশী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে ভুগছেন।
তিনি বলেন, গরিব, নিরীহ মানুষদের সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়। আমাদের অসহায় মায়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বোনেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের ঘরগুলো কেঁপে উঠেছিল, দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
বুধবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদে জড়ো হন অনেকে। মসজিদটির ছাদ ধসে পড়েছে, মিনার ভেঙে পড়েছে। এলাকাটি নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রাখে।
স্থানীয় এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মসজিদটির কাছে তিনজন নিহত হয়েছেন।
মুজাফফরাবাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানকার হাসপাতালগুলো চালু আছে। আজ সকালে কিছু ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান জানিয়েছে, তাদের ২৬ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে পাকিস্তানের কামানের গোলা হামলায় ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৩ জন আহত হয়েছেন।