কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসি নিশ্চিত হয়ে জানিয়েছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। দিল্লির বিমান হামলার জবাবে দেশ দুটির মধ্যে কার্যত সীমান্ত হিসেবে পরিচিত এলাকায় পাকিস্তান যখন ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে, তখন এই ঘটনা ঘটে ।

স্থানীয়রা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে পুঞ্চ এবং মেন্ধার এলাকায়। বাড়ি এবং দোকানপাটসহ অনেক ভবন গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুঞ্চের স্থানীয় সাংবাদিক জামরুদ মুঘল ফোনে বিবিসিকে বলেন, বুধবার রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। মানুষ পুরো রাত ঘুমাতে পারেনি। সবাই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে গেছে। আমাদের স্থানীয় হাসপাতাল এখন আহত মানুষে ভরে গেছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে চালানো ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ওই হামলায় ৪৬ জন আহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।  

বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ভারতের হামলায় ছয়টি এলাকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের সময় বুধবার কয়েক ডজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লাইব্রেরির অংশ দখল করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

নিউ ইয়র্ক পুলিশকে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রকে বাটলার লাইব্রেরির বাইরে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের অনুরোধে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছেছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলার প্রধান পাঠ কক্ষ দখলকারী বিক্ষোভকারীরা অনুপ্রবেশের সাথে জড়িত ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে ড্রাম বাজাচ্ছে এবং লরেন্স এ. ওয়েইন পাঠ কক্ষের ঝাড়বাতির নীচে ‘গাজার জন্য হামলা’ এবং ‘মুক্ত অঞ্চল’ লেখা ব্যানার উড়িয়েছে।

গত বছর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের জন্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, কর্তৃপক্ষ ইহুদিবিদ্বেষী এবং ইহুদি ছাত্রদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ এবং অন্যান্য কুসংস্কার মোকাবিলায় কাজ করেছে।

বুধবার রাতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা ‘ভবনটি সুরক্ষিত করার জন্য, নিউ ইয়র্ক পুলিশের সহায়তা চেয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ