এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী দল পাবে রেকর্ড পরিমাণ টাকা
Published: 8th, May 2025 GMT
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার নাম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। সেটা শুধু খেলার মাঠেই নয়, অর্থের হিসাবেও হয়ে উঠেছে এক মহাযুদ্ধ। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেতে যাচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ছুঁতে পারে।
উয়েফা জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের জন্য তারা প্রাইজমানি বাবদ মোট বরাদ্দ রেখেছে ২৪৩.
এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৪৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ইউরো। অর্থাৎ ২৫৫ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া দুটি দল বার্সেলোনা ও আর্সেনালও খালি হাতে ফিরছে না। তাদের দেয়া হচ্ছে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো করে। যা প্রায় ২০৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন:
২০২৬ বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবে রাশিয়া, যা জানালেন ট্রাম্প
‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমাদের সেটা প্রাপ্য’
চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ভাগে হয় টাকা বণ্টন:
চ্যাম্পিয়নস লিগের টাকা তিনটি ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। যাথা- অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস এবং সম্প্রচার রেভিনিউ। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ক্লাব পাচ্ছে নির্ধারিত ১৮.৬২ মিলিয়ন ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।
পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯১.৪ কোটি ইউরো। যেখানে প্রতিটি জয় বা ড্রয়ের ভিত্তিতে বাড়তে থাকবে ক্লাবগুলোর আয়। ইউরোপিয়ান র্যাংকিংয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ক্লাব সবচেয়ে উপরে থাকবে তারা পাবে সর্বোচ্চ ১৩৬ কোটি টাকার বেশি। আর সবচেয়ে নিচের দল পাবে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
এছাড়া ‘ব্রডকাস্ট মার্কেট পুল’ নামক বিভাগের মাধ্যমে দলগুলো আরও অর্থ পাবে, যার নির্ধারিত বাজেট ৮৫.৩ কোটি ইউরো বা প্রায় ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিটি ক্লাবের জনপ্রিয়তা, বাজারমূল্য ও সম্প্রচার চাহিদার ওপর নির্ভর করে এখানে ভাগ করা হবে অর্থ।
তাহলে সর্বোচ্চ কত টাকা পেতে পারে একটি ক্লাব?
সবকিছু মিলিয়ে—অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস, র্যাংকিং ইনসেনটিভ এবং মিডিয়া মার্কেট পুল থেকে একটি ক্লাব সর্বোচ্চ ‘১২০ মিলিয়ন ইউরো’ অর্থাৎ প্রায় ‘১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা’ পর্যন্ত আয় করতে পারে।
কে জিতবে এই লড়াই?
এই বিপুল অর্থ কার হাতে যাবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ফাইনাল উঠেছে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) ও ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলান। আগামী ৩১ মে দিবাগত রাতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। এখন অপেক্ষা শুধু শেষ বাঁশির। যেখানে বিজয়ী শুধু শিরোপাই নয়, গর্ব আর বিপুল সম্পদেরও মালিক হবে।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প এসজ চ য ম প য়নস ল গ ইন ট র ম ল ন চ য ম প য়নস ল গ সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে কত টাকা পাবে বার্সেলোনা কিংবা অন্যরা
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এসেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি (২০২৪-২৫) মৌসুম। এখন টিকে আছে মাত্র চারটি দল—বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, পিএসজি ও আর্সেনাল।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগ হয়ে গেছে গত সপ্তাহেই। যেখানে পিএসজি ১-০ গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ ড্র করে এসেছে ইন্টার মিলান। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগ আগামীকাল ও আগামী পরশু (৬ ও ৭ মে)।
খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেকের আগ্রহ জাগতে পারে, চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনাল পর্যন্ত টিকে থাকা দলগুলো কত টাকা পাবে উয়েফার কাছ থেকে? ফাইনালে গেলে বা চ্যাম্পিয়ন হলেই বা কত টাকা পাওয়া যায়।
উয়েফা বেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ২০২৪-২৫ মৌসুমে পুরস্কারের অর্থ আগের বছরের তুলনায় অনেক বাড়ছে। এবার পুরো টুর্নামেন্টের জন্য মোট ২৪৩.৭ কোটি ইউরো (প্রায় ৩৩,৬৩৪ কোটি টাকা) অর্থ পুরস্কার বরাদ্দ করেছে উয়েফা, যা আগের মৌসুমে (২০২৩-২৪) ছিল ২০৩ কোটি ইউরো ( প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকা)।
এই বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি কীভাবে বণ্টন করা হবে, চলুন দেখি:
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাইজমানির তিনটি ভাগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার ৩৬টি ক্লাব অংশ নিয়েছে। প্রতিটি ক্লাবের মধ্যে ৬৭ কোটি বা ৬৭০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। মানে প্রতিটি ক্লাব পাবে ১৮.৬২ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) করে। তবে এই অর্থের ১৭.৮৭ মিলিয়ন (২৪৬ কোটি টাকা) দেওয়া হয়েছে অগ্রিম, বাকি ৭ লাখ ৫০ হাজার ইউরো (১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা) দেওয়া হবে পরে। শুধু অংশগ্রহণ করতে পারলেই এত টাকা! বুঝতে পারছেন তো, কেন ক্লাবগুলো চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পেতে এত মরিয়া।
২. পারফরম্যান্সভিত্তিক আয়: মোট ৯১.৪ কোটি ইউরো (প্রায় ১২,৫৯৯ কোটি টাকা)এখানেই আসল লড়াই! যে দল যত ভালো খেলবে, তত বেশি আয়। যেভাবে ভাগ করা হবে এই পারফরম্যান্সভিত্তিক পুরস্কার:
এ ছাড়া নিজেদের লিগে র্যাঙ্কিং বোনাস হিসেবে আরও কিছু টাকা পাবে ক্লাবগুলো। এই অর্থটাকে মোট ৬৬৬টি ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগের মূল্য ২ লাখ ৭৫ হাজার ইউরো। সবচেয়ে নিচে, মানে ৩৬তম অবস্থানে যে দলটি, তারা পাবে এক ভাগ। ৩৫তম অবস্থানে থাকা দুই পাবে দুই ভাগ। এইভাবে শীর্ষে থাকা দলটা পাবে ৩৬ ভাগ, মানে ৯ কোটি ৯০ লাখ ইউরো (১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা)।
এটি নির্ভর করে ওই ক্লাবের বাজারমূল্য (বড় বাজার = বেশি আয়) এবং ক্লাবের উয়েফা র্যাঙ্কিং ও সম্প্রচার জনপ্রিয়তার ওপর। এই অংশটি একেক ক্লাবের জন্য একেক রকম, কেউ পায় অনেক বেশি, কেউ অনেক কম।
তাহলে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলে একটি ক্লাব সর্বোচ্চ কত টাকা পেতে পারে, সেই হিসাবটাও করে ফেলা যাক।
মনে রাখতে হবে, এই যে ১৫০৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সম্ভাব্য আয় চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাজয়ী দলের, সেটা মার্কেট পুল অংশ বাদে। বড় ক্লাবগুলো মার্কেট পুল থেকেও বড় অংশ পায়। সে ক্ষেত্রে আয় বেড়ে ১২০ মিলিয়ন (প্রায় ১৬৫৪ কোটি টাকা) পর্যন্তও হতে পারে!
আরও পড়ুনকোকেন, কান্না আর হুমার হারিয়ে যাওয়া: ওয়াসিম আকরামের জীবনের অন্ধকার অধ্যায়০৪ মে ২০২৫