শরীয়তপুরের থানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
Published: 9th, May 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোটরসাইকেল আটককে কেন্দ্র করে থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে এ হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে ঘড়িসার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পুলিশ সদস্যরা তিনটি মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। সেই মোটরসাইকেলগুলো ছাড়াতে পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে থানায় আসেন নড়িয়া পৌর যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান শেখের ভাতিজা ও কলেজ ছাত্রদল নেতা শাহীন শেখসহ বেশ কয়েকজন। এসময় তারা কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মোটরসাইকেলগুলো ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করে পুলিশ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিয়ে থানা চত্ত্বরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
এসময় বাধা দিতে এলে তাদের হামলায় বিল্লাল হোসেন নামের পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “কিছু দুষ্কৃতিকারী থানায় থানায় ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া জানালার থাই গ্লাসসহ স্থাপনায় ক্ষতি হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আটক করেছি। অপরাধীরা যে দলের হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
ঢাকা/আকাশ/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালত এ নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান জানান, সাবেক মেয়র আইভীকে মিনারুল হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত মামলার শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মে হবে।
এর আগে শুক্রবার ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে তিনি দিনের আলো দেখার পর পুলিশের সঙ্গে যাবেন ঘোষণা দিয়ে সকাল সাড়ে ৫ টায় পুলিশের গাড়িতে করে থানার উদ্দেশ্যে বাড়ি ত্যাগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এসময় আইভীর গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকরা। আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলকে আইভীর বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়ার আহ্বান জানান তারা।