বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে গত এপ্রিল মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১০১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান ও পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, জব্দ করা চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১ কেজি ৪৭৮ গ্রাম স্বর্ণ, ২৫ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ৪ হাজার ৭৫ পিস শাড়ি, ২ হাজার ৩৪২টি থ্রিপিস-শার্টপিস-চাদর-কম্বল, ৩ হাজার ৯৫১টি তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৯৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৯০টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ২ হাজার ৩৫৫টি ইমিটেশন সামগ্রী, ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৩৮৫ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা পাতা, ৩৩ হাজার ৬৭ কেজি সুপারি, ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৭ কেজি চিনি, ৪৮ হাজার ১৫ কেজি সার, ২৩ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, ৫২৫ কেজি সুতা-কারেন্ট জাল, ৫০০টি মোবাইল, ২ হাজার ৩১০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৪০ হাজার ২৫টি চশমা, ১ হাজার ৬৪৯ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩ হাজার ২১৮ কেজি ভোজ্যতেল, ১ হাজার ২২ কেজি পিঁয়াজ, ৩ হাজার ২৭২ কেজি রসুন, ১ হাজার ১৫৪ কেজি জিরা, ৩৯ হাজার ৮৭৪ কেজি ফুচকা, ২ হাজার ৩১২ কেজি শুঁটকি মাছ, ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৯ পিস চিংড়ি মাছের পোনা, ২ হাজার ১৪১ কেজি কফি, ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮ পিস চকোলেট, ৮৩২টি গরু-মহিষ, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৮টি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ৫টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, ১টি ট্রলি, ৩৬টি নৌকা, ২৯টি সিএনজি-ইজিবাইক, ৫০টি মোটরসাইকেল এবং ১৯টি বাইসাইকেল।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৪৪

এবার পাটগ্রাম সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি জি-৩ রাইফেল, ১টি এয়ার রাইফেল, ১টি দেশীয় পিস্তল, ১টি গাদা বন্দুক, ৯৯টি ককটেল এবং ৪০টি পেট্রোল বোমা।

এছাড়া গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ৮৩৪ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৬১৫ গ্রাম কোকেন, ৮ হাজার ১৫৩ বোতল ফেনসিডিল, ১১ হাজার ৩৯১ বোতল বিদেশি মদ, ৮৭ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩০৩ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩১ হাজার ৩০৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট-ইনজেকশন, ৩ হাজার ৬২৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ট্যাবলেট, ৮ বোতল এলএসডি এবং ৮৮ হাজার ৭৭৬টি এ্যানেগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৬৪ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট য বল ট

এছাড়াও পড়ুন:

বেইজিংয়ের প্রযুক্তি ভিসা নিয়ে ভারতে আলোচনা, চীনের নাগরিকেরা বিষয়টি কীভাবে দেখছেন

চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিদেশি পেশাজীবীদের কাজের সুযোগ করে দিতে গত আগস্টে যখন নতুন একটি ভিসানীতি চালুর ঘোষণা দিয়েছিল, তখন তা তেমন কারও নজরে আসেনি।

‘কে ভিসা’ নামে পরিচিত এই ভিসা গত বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এই ভিসাকে ‘চীনের এইচ-১বি’ ভিসা বলে অভিহিত করার পর চীনের এই ভিসার বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি হলো দক্ষ কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভিসা ক্যাটাগরি। গত মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভিসায় আসা কর্মীদের ক্ষেত্রে এক লাখ ডলার ফি যোগ করার ঘোষণা একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এইচ-১বি ভিসায় ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে যান। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই ভিসা পাওয়া ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় নাগরিক।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদন চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ, এমনকি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাঁদের আশঙ্কা, বিদেশিদের দেওয়া সুবিধাগুলো চীনের ধীরগতির চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। চীন ঐতিহাসিকভাবে কখনো বিদেশি পেশাজীবীদের জন্য অভিবাসনের প্রধান কেন্দ্র ছিল না।

ভাষা আরেকটি বড় বাধা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেসব গবেষক ও শিক্ষাবিদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে এসেছেন, তাঁদের অনেকেই জাতিগতভাবে চীনা ও মান্দারিন ভাষায় পারদর্শী।

তবে এখনো এটা স্পষ্ট নয় যে এই ভিসার মাধ্যমে বিদেশি দক্ষকর্মীরা চীনে কাজ করার অনুমতি পাবেন কি না। নাকি এটি শুধু তাদের সে দেশে সহজে প্রবেশের সুযোগ দেবে। তারপরও চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হাজার হাজার ব্যবহারকারী এই কর্মসূচির সমালোচনা করতে ছাড়েননি।

একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘আমাদের নিজেদেরই এত স্নাতক ডিগ্রিধারী আছে, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রিধারীর তো কথাই নেই। আমাদের দেশেই প্রতিভার উদ্বৃত্ত রয়েছে। আর এখন আপনারা বিদেশি কলেজ স্নাতকদের নিয়ে আসছেন?’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ