রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই অপপ্রচার : হিরণ
Published: 13th, May 2025 GMT
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেন, আপনারা জানেন আগেও আমাকে ও আমার সেক্রেটারি নিয়ে অনেক বাজে অপপ্রচার চালিয়েছে ফ্যাসিষ্টদের দোসর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
তারা আমাদের (বিএনপির) চিরন্তন শত্রু। বিগত সতেরোটি বছর তারা আমাদের বিরুদ্ধে কি করেছে তা আপনারা সবাই জানেন।
বর্তমানেও তারা থেমে নেই। একটি কুচক্রী মহল ওই আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে মিশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা মূলত আমাকে ও আমার সেক্রেটারি কে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল এগারোটায় মদনপুর দেওয়ানভাগে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়া নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথাগুলো বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি কারো কাছে থেকে টাকা নিছি এ ধরনের কোন অভিযোগ নেই। আমি যে টাকা খরচ করেছি সেই টাকা চাওয়াটা কি আমার অপরাধ। আমি কি এই টাকাটা চাইতে পারি না। নাকি চাওয়াটাই আমার অপরাধ। কারণ উপকার করছি এটি আমার অপরাধ।
তিনি বলেন, গত রমজান মাসে ধামগড় ইউনিয়নের মালিভিটা এলাকার এক ব্যক্তি মামলা জনিত সমস্যা হলে আমার এক কর্মীর মাধ্যমে তারা দ্বারস্থ হয়। তখন আমি আমার কর্মীর কারণে তাদের পাশে দাঁড়াই এবং টাকা পয়সা দিয়েও সহযোগিতা করি।
সেই সময়ে সেই ব্যক্তি ছেলের সাথে আমার মোবাইল ফোনে মামলা সংক্রান্ত টাকা পয়সার বিষয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা। সেই কথাবার্তায় তার কাছে আমি চাঁদা চেয়েছি এমন ধরনের কোন কথা হয়নি। প্রয়োজনে আপনারা বিষয়টা গভীরভাবে তদন্ত করুন।
তিনি বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগের দোসররা সেই অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে আমি চাঁদা চাইছি বলে অপপ্রচার করছে। তারা আমাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এ সকল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
যদি সেই অডিও রেকর্ডে আমি চাঁদা দাবি করছি এমনকি কিছু থাকতো তাহলে আমার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো।
এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যদি আমি চাঁদা দাবি করছি এমন তথ্য প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমাকে যেই শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো।
তিনি আরও বলেন, আর যারা আমার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে চৌমুহনী বাজার মুজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতে গিয়েছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে—সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলার মানুষ এই দেশ থেকে তাড়িয়েছে। ভারতের আধিপত্যবাদ ও বশ্যতা বাংলার মানুষ আর কখনোই গ্রহণ করবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ভারতের অন্যায় কোনো আবদারে এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি নতি স্বীকার করতে চায়, তাহলে আপনাদের পরিণতিও শুভ হবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফাঁদে পা দিয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারও ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যদি সংস্কার না হয়, শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সে জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি। সরকার গণভোট দেবে বলেছে, কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, চাকসু, জাকসু ও রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি গণভোট হয়, তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।