আমি এমন বোকামি করতে পারি না: ট্রাম্প
Published: 13th, May 2025 GMT
কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বিমান গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে নীতিগত উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই উদার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা ‘বোকামি’ হবে। তিনি এ ধরনের বোকামি করতে পারেন না। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন।
কাতারের উপহার দেওয়া ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিলাসবহুল বিমানটি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে ব্যবহৃত হবে। মার্কিন সরকারের প্রাপ্ত সবচেয়ে মূল্যবান উপহারগুলোর মধ্যে একটি হবে এটি। এই প্রস্তাবের খবর ডেমোক্রেট এবং সুশাসনের সমর্থকদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি স্বার্থের সংঘাত হবে যা প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি অনৈতিক এবং সম্ভবত অসাংবিধানিক।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমানটি অবশেষে প্রেসিডেন্টের সংগ্রহশালায় দান করা হবে। ক্ষমতা ছাড়ার পর ব্যক্তিগত কারণে এটি ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা তার নেই।
মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি এটি কাতারের পক্ষ থেকে একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ। আমি এর জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি কখনই এই ধরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার মতো ব্যক্তি হব না।”
তিনি বলেছেন, “আমি বলতে চাইছি, আমি একজন বোকা ব্যক্তি হতে পারি না যে বলে আমরা বিনামূল্যে অত্যন্ত দামি বিমান চাই না।”
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এই প্রস্তাবকে কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতিরক্ষায় মার্কিন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতার নমুনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন.
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।
বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’