সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সুদর্শন তরুণ বললেন ট্রাম্প
Published: 14th, May 2025 GMT
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে সুদর্শন তরুণ ও শক্তপোক্ত ব্যক্তি বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার কাতার যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেছেন।
আহমেদ আল-শারা মূলত আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন। শারার দল হায়াত তাহরির আল-শাম ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতে নেতৃত্ব দেয়। আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট আল নুসরা ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে আসা হায়াত তাহরির আল-শামকে জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে শারা তার সামরিক দলকে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং তার দেশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। বুধবার শারার সঙ্গে সৌদি আরবে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
আহমেদ আল-শারার সাথে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে ট্রাম্প বলেন, সকালে সৌদি আরবে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ ‘দুর্দান্ত’ হয়েছে। সে “সুদর্শন তরুণ। শক্তপোক্ত লোক। তার অতীত শক্তিশালী। খুবই শক্তিশালী অতীত। যোদ্ধা।”
ট্রাম্প বলেন, “তার মধ্যে এটি ধরে রাখার সত্যিকারের ক্ষমতা রয়েছে। আমি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছি, যিনি তার সাথে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ। তিনি (শারা) মনে করেন যে তিনি ভালো কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এটি একটি ছিন্নভিন্ন দেশ।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি ভেবেছিলেন সিরিয়া ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য এক পর্যায়ে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় তাদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, আমি আশা করি যখন দেশটি নিজের পায়ে দাঁড়াবে তখন আপনিও যোগ ( আব্রাহাম চুক্তিতে) দেবেন।”
জবাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়