মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় র‍্যাব পরিচয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে দুই প্রবাসীকে অপহরণ করে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন শ্রীনগর উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের জসিম শেখ ও কবুতর খোলা গ্রামের সুজন খান। সম্প্রতি তাঁরা সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিলেন। গতকাল রাজধানী ঢাকা থেকে স্বর্ণ বিক্রির টাকা নিয়ে নিজেদের এলাকায় ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

জসিম ও সুজন জানান, সৌদি থেকে বৈধভাবে আনা স্বর্ণ বিক্রি করতে গতকাল তাঁরা ঢাকায় যান। সন্ধ্যায় বিক্রির টাকা নিয়ে নগর পরিবহনের একটি বাসে তাঁরা সেখান থেকে বালাসুর ফিরছিলেন। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে শ্রীনগরের ফেরিঘাটে পৌঁছালে একদল লোক বাসটি থামায়। তারা বাসে উঠে নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে জসিম ও সুজনকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা জসিমের সঙ্গে থাকা ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং সুজনের কাছ থেকে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার সঙ্গে মুঠোফোন লুট করে নেয়। একপর্যায়ে তাঁদের রাজধানীর আবদুল্লাহপুর এলাকায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা।

এ ঘটনায় র‍্যাবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১০–এর ভাগ্যকুল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, অপহরণকারীরা র‍্যাবের সদস্য নয়। তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। চক্রটিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাব ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।

এদিকে অপহরণ ও লুটের অভিযোগের তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছেন শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। আজ বেলা একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র নগর

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার