ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই সৌম্য-রিশাদ
Published: 17th, May 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। শারজাহতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছেন লিটন দাসরা।
লিটন জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও শুরুতে ব্যাটিংয়ের পথেই হাঁটতেন। কারণ শুরুতে উইকেট ভালো থাকায় ভালো রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় ইনিংসে তা আটকানো সুবিধা হবে। লিটনের মতে, দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট ধীর হয়ে যাবে।
আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসেম জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ দলকে ১৪০-১৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চান। ওয়াসেমের বিশ্বাস, চার থেকে পাঁচ মাস শারজাহর উইকেটে কোন খেলা না হওয়ায় ফ্রেশ উইকেটে শুরুতে বোলাররা সুবিধা পাবে।
বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম এই টি-২০ ম্যাচে সৌম্য সরকারকে একাদশে রাখেনি। ওপেনিংয়ে পারভেজ ইমনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আছেন তানজিদ তামিম। বোলিং আক্রমণে মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদের সঙ্গে তানজিম সাকিবকে রাখা হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দরে তিন রাত আটকে থাকা লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নেই একাদশে। সুযোগ পেয়েছেন বাঁ-হাতি তানভীর ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারি, জাকের আলী, শেখ মাহেদী, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।
বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’