সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ তামিম ও তিনে নামা অধিনায়ক লিটন দাস ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। তবে পারভেজ ইমন ঝড়ো ফিফটি করে খেলছেন। 

বাংলাদেশ ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে থাকা পারভেজ ইমন ৩০ বলে ৫৩ রান করেছেন। পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চার মেরেছেন তিনি। তাওহীদ হৃদয় ১৪ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রানে খেলছেন। 

এর আগে তানজিদ তামিম ৯ বলে একটি চার ও ছক্কায় ১০ রান করে ফিরে যান। লিটন দাস ৮ বল খেলে ১১ রান করেন। একটি ছক্কা তোলেন তিনি।

বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম এই টি-২০ ম্যাচে সৌম্য সরকারকে একাদশে রাখেনি। ওপেনিংয়ে পারভেজ ইমনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আছেন তানজিদ তামিম। বোলিং আক্রমণে মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদের সঙ্গে তানজিম সাকিবকে রাখা হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দরে তিন রাত আটকে থাকা লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নেই একাদশে। সুযোগ পেয়েছেন বাঁ-হাতি তানভীর ইসলাম।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারি, জাকের আলী, শেখ মাহেদী, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম।

আরব আমিরাত একাদশ: মোহাম্মেদ ওয়াসেম, মোহাম্মদ জোহাইব, আলিশান শারাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পরেশার, সঞ্জিত শর্মা, মোহাম্মদ জুহাইব, মতিউল্লাহ, হায়দার আলী, মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ।

 

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ