অসাধারণ, অতিমানবীয়, অবিশ্বাস‌্য। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৯ ছক্কা হাঁকাবেন তা যেন কল্পনাকেও হার মানাবে। সেই কল্পনাকে বাস্তবে ২২ গজে রূপ দিলেন পারভেজ হোসেন ইমন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শনিবার রাতে ছক্কা বৃষ্টি নামালেন পারভেজ। পেলেন টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ পেল এই ফরম‌্যাটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ানকে। ২০১৬ সালে তামিম ইকবাল ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। যা ছিল এতদিন এই ফরম‌্যাটে বাংলাদেশের ব‌্যাটসম‌্যানদের একমাত্র সেঞ্চুরি।

৯ বছর পর পারভেজ গেরো ছুটালেন। সেঞ্চুরির সঙ্গে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ডটি পারভেজ নিজের করে নিয়েছেন। সঙ্গে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানও। তামিম ওমানের বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। পারভেজের লেগেছে ৫৩ বল। এছাড়া স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তার ৪২ বলে সেঞ্চুরিও আছে। সব মিলিয়ে ৫৪ বলে ১০০ রান করেন ৫ চার ও ৯ ছক্কায়।

তার সেঞ্চুরি বৃথা যায়নি। শারজাহ স্টেডিয়ামে আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৯১ রান করে। জবাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভালো অবস্থানে থাকার পরও ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি। ২৭ রানের জয়ে দুই ম‌্যাচের সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

যে জয়ের নায়ক হয়েছেন অনুমিতভাবেই পারভেজ। প্লেয়ার অব দ‌্য ম‌্যাচের পুরস্কার নেওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পারভেজ বলেছেন, ‘‘এটা অবশ্যই আমার জন্য বিশেষ (সেঞ্চুরি) । এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সেঞ্চুরি। তাই এটা আমার জন্য বিশেষ। উইকেট মূল্যায়ন করে আমার প্রক্রিয়ার সাথে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে এবং পরবর্তীতে এগিয়ে গিয়েছি। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।"

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে সজীব বেপারী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “দণ্ডিত আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত ভিকটিম ও তার পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”

আরো পড়ুন:

নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক কারাগারে

রায় ঘোষণার সময় সজীব ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিল। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুই সন্তান নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঘোষ ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ২০২০ সালের ৫ মে ভিকটিমের বাবা রিকশা নিয়ে বের হয়ে যান। তার মা অন্যের বাসায় কাজে যান। দুপুর ১২ টার দিকে সজীব ভিকটিমকে এবং তার দুই বছরের ভাইকে বাসার সামনে থেকে একই থানার পিকার স্কুলের পেছনে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটি কান্নাকাটি করলে তাদের দুইজনকে বাসা থেকে বের করে দেয় সজীব। ভিকটিম বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে তার মা বাবাকে জানান। ১৩ মে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান। ওইদিন তার বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর সজীবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় মালো। এরপর সজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/এম/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ