চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্ব, হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু
Published: 21st, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরে পাঁচ দিন আগে ছুরিকাঘাতে আহত এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম ওয়াহিদুল হক ওরফে সাব্বির (১৮)। আজ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বে ওই কলেজছাত্রের ওপর হামলা হয়।
নিহত ওয়াহিদুল হক নগরের মুরাদপুর এলাকায় আইডিয়াল টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। নগরের হালিশহর মধ্যম রামপুর এলাকার মোহাম্মদ এসহাকের ছেলে তিনি।
ওয়াহিদুলের মামা মো.
জানতে চাইলে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালিশহর থানার উপপরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ‘পাইথন’ ও ‘বিঙ্গু’ গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত মিনহাজুল (২০) নামের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে জড়িত অন্যদের নাম উঠে এসেছে। নিহত ওয়াহিদুল ‘বিঙ্গু’ গ্রুপের সদস্য। ঘটনার কিছুদিন আগে ওয়াহিদুল এক ছেলেকে মেরেছিলেন। এর প্রতিশোধ নিতে তাঁর ওপর পরিকল্পিতভাবে এই হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এখন যেহেতু ভুক্তভোগী মারা গেছেন তাই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। এ জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
নিহত ওয়াহিদুল মা-বাবার একমাত্র ছেলেসন্তান। তাঁর আরও দুটি বোন রয়েছে। ছেলে মারা গেছেন শুনে হাসপাতালে সন্ধ্যায় ছুটে আসেন বাবা মোহাম্মদ এসহাক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেকে নিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক হ ল শহর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-পাবনা যোগাযোগ: পরিদর্শনে দুই সচিব
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরের কৃষি ও শিল্প সমৃদ্ধ জেলা পাবনার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গেছেন দুই সচিবের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে তারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
তারা হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এছাড়া প্রতিনিধিদলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
এই সফরের উদ্দেশ্য হলো-পাবনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ সেক্টরে গতি বাড়াতে ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই, জ্বালানি ব্যয় কমাতে ঢাকা-পাবনা ফেরী পথের দূরত্ব হ্রাসসহ জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা।
সফরকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানান, পাবনা সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো- ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা এবং জ্বালানি ব্যয় ও সময় হ্রাস করে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করার জন্য কাজিরহাট থেকে ফেরীঘাট স্থানান্তর করে খাসচরে চালু করা। এছাড়াও অনান্য সংযোগ সড়ক চালুর বিষয়ও পরিদর্শন করা হয়েছে। পাবনা থেকে ঢাকার রেল যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে ঢালার চর থেকে রাজবাড়ী হয়ে পদ্মা রেল সেতুর সাথে সংযুক্ত করার জন্য ঢালার চর-রাজবাড়ী রেল ব্রিজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা দেখাও ছিল পরিদর্শনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, পাবনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের পাবনা সফর নিঃসন্দেহে মাইলফলক। কেননা পাবনা হচ্ছে একটি কৃষি, শিক্ষা, ওষুধ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন খুবই জরুরি দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের দুই সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাবনা সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পাবনা সফর করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিমুল বিশ্বাস।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি