‘আপাতে, আপাতে’ গায়িকা রোজেকে বাদ দেওয়ায় বিতর্ক
Published: 3rd, October 2025 GMT
‘আপাতে, আপাতে’ গেয়ে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন ব্ল্যাকপিঙ্ক তারকা রোজে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও টিকটকে গানটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। আলোচিত এই কে–পপ গায়িকাকে একটি গ্রুপ ছবিতে থেকে বাদ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে এলে ইউকে ম্যাগাজিন।
গত সোমবার এক ফ্যাশন শোতে তোলা ছবিটিতে রোজের সঙ্গে গায়িকা চার্লি এক্সসিএক্স, মডেল হেইলি বিবার ও অভিনেত্রী জোয়ি ক্রাভিটজ ছিলেন। ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে এলে ইউ; তবে ছবিতে রোজেকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনজন ছবিতে রয়েছেন।
ছবিতে রোজেকে দেখা যাচ্ছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সদরের স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের মাঝে ৫০ কেজি করে চাল ও সাড়ে সাত হাজার টাকা করে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
‘খাগড়াছড়িবাসী ইউপিডিফের অপরিপক্ক আন্দোলনের মাশুল গুনছে’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করবে: সেতু উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ ও অনুদানের চেক বিতরণ করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি বলেন, “সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে প্রশাসন সবসময় আছে। আপনাদের ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে দেওয়া না গেলেও এই অনুদানের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবে।’’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ হাসান প্রমুখ
২৩ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের সিঙ্গিনালায় রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ি এই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা জেলায় অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।
অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুর করা হয়। এরপর সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা এবং গুইমারা উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
এই সহিংসতার মধ্যে পাহাড়ি ও স্থানীয়দের বাড়িঘর, দোকান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল