নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়রথ থামাল রংপুর
Published: 3rd, October 2025 GMT
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২৫–২৬ মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে ছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। টানা তিন ম্যাচের জয় নিয়ে ইয়াসির আলীর দল যখন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি মাঠে হোঁচট খেল তারা। আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রংপুরের বিপক্ষে ১২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে হার মানতে হলো চট্টগ্রামকে। ব্যাটে-বলে সমানতালে জ্বলে উঠে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
টস হেরে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত আক্রমণে মাত্র ৪৪ রানের ভেতরেই তারা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী ও ইরফান শুক্কুর। দুজনের ৪৮ রানের জুটি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও ২২ রান করা ইয়াসির বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে দলটি।
আরো পড়ুন:
শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনার ৩ রানের জয়
অনায়াস জয়ে রাজশাহীকে হারাল চট্টগ্রাম
ইরফান শুক্কুর অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। ৪৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রান করেন তিনি। কিন্তু সঙ্গীদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ড থেমে যায় ৭ উইকেটে ১৩৮ রানে।
রংপুরের হয়ে আব্দুল গাফফার সাকলাইন নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। মুশফিক হাসান ঝুলিতে ভরেছেন ২টি উইকেট। আর আলাউদ্দিন বাবু ও নাসির হোসেন শিকার করেছেন ১টি করে।
১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও রংপুরকে দারুণ ভিত্তি উপহার দেন নাসির হোসেন ও জাহিদ জাভেদ। দুজনের ৭৮ রানের জুটি কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নাসির ৩২ বলে ৪৩ রান করে ফেরার পরই খানিকটা অস্থিরতা আসে ইনিংসে। দ্রুতই বিদায় নেন জাহিদ (৩৯), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪) ও নাঈম ইসলাম (২)।
তবে চাপের মুহূর্তে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক আকবর আলী। তার ১৪ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ১৮.
ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৪৩ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১ উইকেট তুলে নেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পান নাসির হোসেন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই মূলত থেমে যায় চট্টগ্রামের টানা জয়ের ধারা।
এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রংপুর। অন্যদিকে ৫ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রাম।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়রথ থামাল রংপুর
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২৫–২৬ মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে ছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। টানা তিন ম্যাচের জয় নিয়ে ইয়াসির আলীর দল যখন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি মাঠে হোঁচট খেল তারা। আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রংপুরের বিপক্ষে ১২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে হার মানতে হলো চট্টগ্রামকে। ব্যাটে-বলে সমানতালে জ্বলে উঠে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
টস হেরে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত আক্রমণে মাত্র ৪৪ রানের ভেতরেই তারা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী ও ইরফান শুক্কুর। দুজনের ৪৮ রানের জুটি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও ২২ রান করা ইয়াসির বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে দলটি।
আরো পড়ুন:
শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনার ৩ রানের জয়
অনায়াস জয়ে রাজশাহীকে হারাল চট্টগ্রাম
ইরফান শুক্কুর অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। ৪৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রান করেন তিনি। কিন্তু সঙ্গীদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ড থেমে যায় ৭ উইকেটে ১৩৮ রানে।
রংপুরের হয়ে আব্দুল গাফফার সাকলাইন নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। মুশফিক হাসান ঝুলিতে ভরেছেন ২টি উইকেট। আর আলাউদ্দিন বাবু ও নাসির হোসেন শিকার করেছেন ১টি করে।
১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও রংপুরকে দারুণ ভিত্তি উপহার দেন নাসির হোসেন ও জাহিদ জাভেদ। দুজনের ৭৮ রানের জুটি কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নাসির ৩২ বলে ৪৩ রান করে ফেরার পরই খানিকটা অস্থিরতা আসে ইনিংসে। দ্রুতই বিদায় নেন জাহিদ (৩৯), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪) ও নাঈম ইসলাম (২)।
তবে চাপের মুহূর্তে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক আকবর আলী। তার ১৪ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ১৮.৪ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৪৩ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১ উইকেট তুলে নেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পান নাসির হোসেন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই মূলত থেমে যায় চট্টগ্রামের টানা জয়ের ধারা।
এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রংপুর। অন্যদিকে ৫ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রাম।
ঢাকা/আমিনুল