দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র তৈরি করলেন এক প্রার্থী
Published: 3rd, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র (লিফলেট) তৈরি করেছেন হল সংসদের এক প্রার্থী। ওই প্রার্থীর নাম শেখ সাদিয়া সিদ্দিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি (সহসভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পদে তিনি ছাড়াও আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামসুন্নাহার হলে চারজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের জন্যই ব্রেইল পদ্ধতিতে নিজের নাম ও ব্যালট নম্বরের লিফলেট করেছেন সাদিয়া। এর মধ্যে একজনের হাতে প্রচারপত্র তুলে দিয়েছেন। বাকি তিন ছাত্রী পূজার ছুটিতে বাড়িতে থাকায় তাঁদের হাতে এখনো প্রচারপত্র পৌঁছে দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে শেখ সাদিয়া সিদ্দিকা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চট্টগ্রামে ব্রেইল প্রচারপত্র ছাপানোর মতো প্রেস পাননি। তাই তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজ উদ্যোগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র তৈরি করেন। সাদিয়া বলেন, ‘এটি করার মাধ্যমে আমি প্রশাসনকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। প্রশাসন যেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।’
উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এ নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন এবং হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা কীভাবে ভোট দেবেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে বর্তমানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮৬ জন। তবে এ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যালট পেপার ছাপানো হবে কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানায়, ভোট দেওয়ার সময় একজন প্রতিনিধি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকতে পারবেন। তাঁরা ওই শিক্ষার্থীকে ব্যালটে থাকা নাম ও নম্বর পড়ে শোনাবেন। পরে শিক্ষার্থীর অনুমতিক্রমে ভোট দেবেন। তবে কমিশনের এ প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন অনেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। তাঁরা বলছেন, ওই প্রতিনিধি নিজের মতাদর্শ অনুযায়ী ভোট দিয়ে দিতে পারেন।
দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল প্রচারপত্র বানালেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ভিপি প্রার্থী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ‘মোটা জেনারেল’ এবং বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর অধঃপতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমান্ডারদের এক বিরল সমাবেশে তিনি বলেন, যাঁরা তাঁর কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
হেগসেথের সঙ্গে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে সমবেত অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি মার্কিন শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনকে ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা দেন।
ফক্স নিউজের সাবেক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হেগসেথ এবং সাবেক রিয়েলিটি টিভি তারকা ট্রাম্পের এ মন্তব্য একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহে হঠাৎই এই সমাবেশের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল।
হেগসেথ অনুষ্ঠান শুরু করে বলেন, ‘নির্বোধ ও বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল পথে পরিচালনা করায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ‘ওউক ডিপার্টমেন্ট’ (অতিমাত্রায় প্রগতিশীল বিভাগ) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
সারা বিশ্ব থেকে উড়ে আসা শীর্ষ কর্মকর্তায় ভরা মিলনায়তনে ভাষণ দেওয়ার সময় হেগসেথ তাঁর মাধ্যমে ফ্ল্যাগ কর্মকর্তাদের যাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন, সেই সেটিকে সমর্থন করেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ শীর্ষ মার্কিন জেনারেল এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে তিনি অব্যাহতি দিয়েছেন, তাঁরা একটি ভেঙে পড়া সংস্কৃতির অংশ ছিলেন।
হেগসেথ পেন্টাগন যেভাবে বৈষম্যের অভিযোগ ও অন্যায়ের তদন্ত পরিচালনা করছে, তাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘ডিমের খোসার ওপর দিয়ে হাঁটার মতো’ সতর্ক থাকতে হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের ডাকে সমাবেশে যোগ দেওয়া মার্কিন শীর্ষ জেনারেলরা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ভার্জিনিয়া