জাহানারা, সালমারা আর কি ফিরতে পারবেন বাংলাদেশ দলে
Published: 28th, May 2025 GMT
ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই সরব হয়ে ওঠেন রুমানা আহমেদ। তিন বছর ধরে জাতীয় দলে নেই, ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফুটে ওঠে সেই হতাশা, অভিমান। এমন প্রকাশ্যে না হলেও বাংলাদেশ নারী দলের আরও দুই সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলম আর সালমা খাতুনেরও জাতীয় দলে না থাকা নিয়ে অভিমান আছে। জাহানারা এখন আছেন অস্ট্রেলিয়ায়, সালমার সময় কাটে খুলনায় অনুশীলন করে।
পঞ্চপাণ্ডব–পরবর্তী সময়ে ছেলেদের ক্রিকেট একটা সংকটের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। নারী ক্রিকেট ঠিক সেরকম সংকটে নেই, তবে ‘সিনিয়র’দের বিদায়ের বাঁশি সেখানেও বাজছে। নারী ক্রিকেটেও তারুণ্যের দিকেই তাকাচ্ছে বিসিবি। প্রিমিয়ার লিগে ৮ ম্যাচ করে খেলে সালমা ২১ আর রুমানা ১৪ উইকেট নিয়েও তাই নির্বাচকদের নজরের বাইরে। বিকেএসপিতে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ক্যাম্পে জায়গা হয়নি তাঁদের। ভবিষ্যতে ঘরোয়া ক্রিকেটে আহামরি কিছু করে না ফেললে তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের আর জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
রুমানা সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিসিবি যেন তাঁকে তাঁর ভবিষ্যতের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দেয়। বিসিবির নারী উইং থেকে যে একেবারেই তিনি কোনো ধারণা পাননি, তা অবশ্য নয়। ফিটনেসে উন্নতি আনতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে রুমানার দলের বাইরে থাকার অন্য কারণও আছে। জাতীয় দলে ফাহিমা খাতুন–স্বর্ণা আক্তারদের পারফরম্যান্সও রুমানার ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ করে তোলার একটা কারণ। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর দেওয়া স্ট্যাটাস নিয়েও বিরক্তি আছে বিসিবিতে।
সালমা আমাদের নারী ক্রিকেটের প্রথম তারকা। সে যদি অবসর নিতে চায়, তাহলে এটা বিসিবিকে জানাব।নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদদীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলেও জাতীয় দল থেকে একরকম ছিটকে যাওয়া রুমানা ফিটনেস প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘ফিটনেসে যে উন্নতি হয়েছে, সেটা আমি কোথায় দেখাব? ওই সুযোগ তো দিতে হবে। আর নতুনদের কাছ থেকে মানুষ ফিটনেস চায়, পুরোনোদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা। আমি তো ঘরোয়া ক্রিকেটেও পারফর্ম করছি।’
অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে এগিয়ে সালমা। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক খেলোয়াড়ি জীবনের পর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। তবে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ারও ইচ্ছা আছে, হোক সেটি ঘরোয়া ক্রিকেটে। কারণ, জাতীয় দলে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা যে ক্ষীণ, তা বুঝতে পারছেন সালমাও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার ফেরার স্বপ্ন দেখেন কি না জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাজ পারফর্ম করা, করে যাচ্ছি। বাকিটা যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের হাতে।’ বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে আয়োজন করে বিদায় জানানোর ইচ্ছা বিসিবিরও। এ বিষয়ে বিসিবির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখবেন সালমা।
সালমার ভবিষ্যৎ নিয়ে নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ বলেছেন, ‘সালমা আমাদের নারী ক্রিকেটের প্রথম তারকা। সে যদি অবসর নিতে চায়, তাহলে এটা বিসিবিকে জানাব। তাঁকে যেন ভালোভাবে বিদায় দেওয়া যায়, সে জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করব।’
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় জাহানারা আলম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?
মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে