Prothomalo:
2025-09-17@23:58:10 GMT

ফেরিঘাটের পাড়ে ধস শুরু

Published: 28th, May 2025 GMT

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদীর পাড় ধসতে শুরু করেছে। ভাঙনের অধিক ঝুঁকিতে আছে ৭ নম্বর ফেরিঘাট। ফেরি ভেড়া ও ছেড়ে যাওয়ার সময় ফেরির পাখার ঘূর্ণিপাকে ঘাট আরও ভাঙছে। পাড়ের বসতবাড়িও ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মায় পানি বেড়েছে। নদীর পাড় ধসে পড়ছে। বিশেষ করে ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে পাশের ৬ নম্বর ফেরিঘাটের আগ পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফেরিঘাটসহ স্থানীয় শাহাদত মেম্বার পাড়া ও ফেরিঘাটের ভাটিতে বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। 

৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা ও মুদিদোকানি বারেক মৃধা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘তিনবার নদীভাঙনে সব হারিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে ৬ নম্বর ঘাটে বাস করছি। নদীর পাড় তখনো ছিল প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। ভাঙতে ভাঙতে এখন ঘরের কোনায় এসে নদীর পাড় ঠেকেছে। প্রতিবছর ভাঙনে বাড়িঘর, দোকানপাট বিলীন হতে থাকে। প্রশাসনসহ সবাই তখন দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। স্থানীয়দের অনেকে প্রশাসনের সঙ্গে মিলে বালুর বস্তা ফেলতে থাকে। পানির নিচে কী ফেলছে, কেউ তো বোঝে না। এ সময় অনেকের ভালো ব্যবসা হয়। অথচ শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন ঠেকাতে অনেক অনুরোধ জানিয়েছি;কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি।’

ফেরিঘাটের পাশাপাশি লঞ্চঘাটও ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত মালিক সমিতির ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, প্রতিবছর বর্ষা এলেই ভাঙন দেখা দেয়। লঞ্চঘাট এলাকাসহ স্থানীয় অনেক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা নিলে হয়তো অনেক কিছুই রক্ষা পেত।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসন্ন ঈদুল আজহার আগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) চিঠি লিখছি।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেরিঘাট রক্ষার্থে আমাদের যে ধরনের প্রস্তুতি রাখা দরকার, তা রয়েছে। বড় ধরনের ভাঙন দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হয়।’ দৌলতদিয়া ঘাট রক্ষায় আগাম প্রস্তুতির বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নদ র প ড় দ লতদ য় ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

দৌলতদিয়ায় ফেরির ধাক্কায় ভেঙে গেছে পন্টুনের কবজা, যানবাহন পারাপার ব্যাহত

তীব্র স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরির ধাক্কায় ভেঙে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনের কবজা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ঘাটটি। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে দৌলতদিয়ায় শুধু ৪ নম্বর ঘাট চালু আছে। এতে যানবাহন পারাপারে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে এবং সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় ও ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে পদ্মায় তীব্র স্রোত দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর এর তীব্রতা আরও বাড়ে। রাত ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহ পরান দৌলতদিয়ায় পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় ফেরিটি প্রচণ্ড বেগে ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুনে ধাক্কা দিলে কবজা ভেঙে যায়। এর পর থেকে ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর আগে ২৩ আগস্ট থেকে তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে চারটি ঘাটের মধ্যে কেবল ৪ নম্বর ঘাট সচল রয়েছে। সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী পরিবহন এবং জরুরি কিছু পণ্যবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে। তবে সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।

দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্টে (৩ নম্বর ঘাট) দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিসির নিরাপত্তা পরিদর্শক ইদ্রিস আলী ভূঁইয়া বলেন, গতকাল রাতে ফেরি শাহ পরান ঘাটে ভেড়ার সময় প্রচণ্ড ধাক্কায় পন্টুনের কবজা ভেঙে যায়। তখন থেকে ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে অনেক গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ কারণেও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গাড়ির চাপ পড়ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির লাইন আরও লম্বা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় চালকসহ যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সৌহার্দ্য পরিবহনের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, ‘শুধু একটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহন স্বাভাবিকভাবে পার হতে পারছে না। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী গাড়ি আটকে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। আমাদের চারটি যাত্রীবাহী বাস চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে আছে। বাসগুলো ফেরিতে উঠতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে।’

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে অনেক বেশি সময় লাগছে। গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন শুধু ৪ নম্বর ঘাট চালু রয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও কিছু জরুরি গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি আপাতত পার করা যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১৭ জনকে বেলার চিঠি, বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের অনুরোধ
  • ভাঙ্গায় আন্দোলন: দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি
  • বন্দরে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা ও প্রাননাশের হুমকি
  • দৌলতদিয়ায় ফেরির ধাক্কায় ভেঙে গেছে পন্টুনের কবজা, যানবাহন পারাপার ব্যাহত
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব