টিম গ্রুপের এমডির মৃত্যুতে বিজিএমইএ-বিকেএমইএর শোক
Published: 9th, June 2025 GMT
তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। কানাডার একটি লেকে নৌকা ভ্রমণের সময় দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। সোমবার (৯ জুন) পোশাক শিল্পের একাধিক উদ্যোক্তা ও টিম গ্রুপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আবদুল্লাহ হিল রাকিবের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তার মরদেহ শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জানাজা ও দাফনের বিষয়ে পরে জানানো হবে।
বিজিএমইএর শোক
আবদুল্লাহ হিল রাকিবের অকাল প্রয়াণে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএ সদস্যদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বিজিএমইএর প্রশাসক মো.
এ মৃত্যুতে বিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার অনুপস্থিতি সমগ্র শিল্পে গভীরভাবে অনুভূত হবে। মরহুমের পরিবার, সহকর্মী, তার কাজ ও উত্তরাধিকার দ্বারা প্রভাবিত সকলের প্রতি আমাদের সমবেদনা এবং প্রার্থনা।
বিজিএমইএর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজেও একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে শোকবার্তায় বলা হয়েছে, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিজিএমইএর প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ হিল রাকিবের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। আবদুল্লাহ হিল রাকিব একজন ডাইনামিক উদ্যোক্তা এবং একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন, যিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কাজ করেছিলেন।
বিকেএমইএর শোক
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এক শোকবার্তায় বলেন, বিকেএমইএ তথা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের সকলেরই অত্যন্ত প্রিয়মুখ টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব আর নেই। তার মৃত্যুতে বিকেএমইএ গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। তার বিদায়ে দেশের পোশাক শিল্পে বিশাল শূন্যতা তৈরি করলো বলে আমরা মনে করি, যা এক অপূরণীয় ক্ষতি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ এমইএ আবদ ল ল হ হ ল র ক ব ব জ এমইএর ব জ এমইএ ব ক এমইএ
এছাড়াও পড়ুন:
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমইএ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ
বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৭.৫০ শতাংশ
বিজিএমইএ জানায়, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ যুগের উপযোগী করে তুলতে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও পরামর্শ সেবা পরিচালনা করবে বিজিএমইএ ও এনপিও। পাশাপাশি, উৎপাদনশীলতা ও অপারেশনাল উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ এস, কাইজেন, লিন ম্যানুফেকচারিংরের মতো আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
চুক্তির অংশ হিসেবে প্রতি বছর তিনটি তৈরি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে বাছাই করা হবে এবং এনপিওর কারিগরি সহায়তায় এসব কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, উভয় সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগেও একসাথে কাজ করবে।
এনপিও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিও সভাপতি মো. নুরুল আলম।
বিজিএমইএ প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং সাপ্লাই চেইনের নতুন বাস্তবতায় ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র কম খরচের ওপর নির্ভর না করে, এখন প্রয়োজন গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়।
বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও ইনোভেশন সংযুক্ত করা জরুরি। বিজিএমইএ ও এনপিওর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে রূপান্তরের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।”
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ