শ্রীপুরে জাম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু
Published: 10th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গাছে উঠে জাম পাড়তে গিয়ে পড়ে আবদুল মান্নান (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মান্নানের ঘরের পেছনেই একটি জামগাছ আছে। গাছে লম্বা বাঁশ জড়িয়ে সেটি বেয়ে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে উঠে জাম পাড়ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে একটি জামের ডাল ধরে অন্য একটি ডালের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ ডাল ভেঙে গাছের পাশেই ছোট কাঁঠালগাছের ডালে পড়ে যান তিনি। কাঁঠালগাছের ডাল আঁকড়ে ধরে টিকে থাকার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত তিনি নিচে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নেওয়ার পরামর্শ দেন। অন্য হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে দ্রুত পেকে যাচ্ছে সব আম, ঈদের জন্য ‘মানুষ খাচ্ছে কম’
রাজশাহীতে আমের সবচেয়ে বড় হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। ঈদের পর এই হাটের আমের বাজার বসানো হয়েছে একটি কলেজ মাঠে। গতকাল সোমবার বিকেলে হাটে ঢুকতেই দেখা গেল, একজন আম বিক্রেতা মুঠোফোনে অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে বলছেন, ‘তরে কইছিলাম না যে আম নামাবি না। এখন বাজারে তো দাম কয় না।’
ফোন রাখার পর আলাপে জানা গেল তাঁর নাম মনজুর মিয়া। আমের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে আজকের (সোমবার) আমের বাজার সবচেয়ে কম। ক্ষীরশাপাতির (হিমসাগর) দামই বলে না ক্রেতারা। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ। গত বছর এই দিনে এই আম আড়াই হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়নি। ঈদের আগেও ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। এখন আম না পেড়ে উপায় ছিল না। দুই বিঘা আয়তনের বাগানের আম কিনেছেন। সব আম পেকে পড়ে যাচ্ছে।
সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বানেশ্বর হাটে মনজুর মিয়ার মতো বেশ কয়েকজন আম বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, এবার রাজশাহীতে আমের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া ছিল। মুকুলও বেশি ছিল। মুকুল থেকে আমের গুটিও হয়েছিল বেশি। এবার তাই অন্যবারের চেয়ে আমের ফলন ভালো। এ বছর আমের মৌসুমে পড়ে গেছে কোরবানির ঈদ। গত বছরও পড়েছিল। তবে আম কম ছিল। প্রচণ্ড রোদ আর গরম থাকায় ঈদের আগে-পরে সব আম পরিপক্ব হয়ে গেছে। একসঙ্গে আম পাকতে শুরু করায় সবাই আম পাড়তে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ক্রেতাও নেই। এ কারণে আমের বাজারে ধস নেমেছে।
১৫ ক্রেটে ৭ মণের মতো আম নিয়ে এসেছিলেন মো. রাসেল। তাঁর আনা হিমসাগরের আকার কিছুটা ছোট। তিনি এক হাজার টাকা মণে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈদের কারণে হাটে ক্রেতা, পাইকার নেই। গাছে আম রাখা যাচ্ছে না। সব আম পেকে যাচ্ছে। এবার আম চাষে ক্ষতি গেল। গাছে আম রাখতে পারলে এক সপ্তাহ পর দাম পাওয়া যেত।
মো. জালাল নামের একজন বলেন, ‘এবার আমের দাম সর্বনিম্ন। আম লওয়ার লোক নেই। দাম বলছেই না। এবার সব ব্যবসায়ীর লস। ঈদের আগেও বাজার এত কম ছিল না। আজকে বারো শ টাকা মণ হিমসাগর আম। আর ল্যাংড়া আমের দাম বলে এগারো শ টাকা। এই দামে বিক্রি করলে সার, ওষুধ, শ্রমিকের দামই উঠবে না।’
আম নিয়ে চলছে ক্রেতা–বিক্রেতার দর–কষাকষি। সোমবার বিকেলে রাজশাহীর বানেশ্বরে আমের হাটে