ওজন কমাতে চান? এই চারটি পদ্ধতি অনুসরণ করুন
Published: 14th, June 2025 GMT
ওজন কেন বাড়ে
মূলত আমাদের ওজন দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। দৈনন্দিন ক্যালরি গ্রহণ ও দৈনন্দিন ক্যালরি ব্যয়। কায়িক শ্রম ও কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে আমাদের ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত। যদি দিনের পর দিন ক্যালরি গ্রহণ, ক্যালরি ব্যয়ের তুলনায় বাড়তি থাকে, তবে ধীরে ধীরে বাড়তি ক্যালরি চর্বি হিসেবে জমা হতে থাকবে ও ওজন বাড়তে থাকবে। একসময় তা নাগালের বাইরে চলে যাবে। তবে পুরো বিষয়টা আসলে এত সরল নয়। এর মধ্যে কাজ করে আরও নানা কিছু। আছে জিনগত বিষয়, হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটারের খেলা, আছে মনের বা সাইকোলজিক্যাল কিছু উপাদান। অনেকে পারিবারিকভাবেই একটু মোটা ধাঁচের। আবার কিছু জিনগত রোগে ওজন বাড়ে, যেমন প্রাডার–উইলি সিনড্রোম, পলিজেনিক ওবেসিটি ইত্যাদি। কিছু হরমোনজনিত রোগ, যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম বা কর্টিসোল হরমোনের আধিক্য, হাইপোথ্যালামিক ডিজঅর্ডার, পিসিওএসে ওজন বৃদ্ধি পায়। কিছু ওষুধ যেমন স্টেরয়েড, ইনসুলিন, সালফোনিল ইউরিয়া গোত্রের ওষুধ, কিছু অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট বা অ্যান্টি সাইকোটিক খেলে ওজন বাড়তে পারে। মানসিক চাপ বা রোগের কারণে কেউ কেউ বিঞ্জ ইটিং বা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করেন, কারও ফুড ক্রেভিং বেশি, ইমোশনাল ইটিং বা ফুড এডিকশন রয়েছে কোনো কোনো খাবারের প্রতি। তারও গভীরে, শরীরের কিছু রাসায়নিক আমাদের খাদ্যাভ্যাস, ফুড চয়েস, তৃপ্তি ও খিদের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে রয়েছে হাঙ্গার সেন্টার ও স্যাটাইটি (তৃপ্তি) সেন্টার। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে কিছু হরমোন ও রাসায়নিক (যেমন লেপটিন, গ্রেলিন, ইনসুলিন, গ্লুকাগন লাইক পেপটাইড, পেপটাইড ওয়াই ইত্যাদি)। এসব রাসায়নিকের ওঠানামা আমাদের খাদ্যাভ্যাস, আচরণ এবং ওজন ওঠানামার সঙ্গে জড়িত। তবে মোটাদাগে ওজন বৃদ্ধির পেছনে আমাদের মন্দ খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক শ্রমহীনতাই দায়ী।
স্থূলতা বা ওবেসিটিকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অসংক্রামক ব্যাধি হিসেবে বিবেচনা করা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র গ রহণ ওজন ব হরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল