ছেলের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ ও মারধরের অভিযোগে মায়ের মামলা
Published: 19th, June 2025 GMT
ঝালকাঠিতে মারধর ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অশীতিপর এক মা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউনুস মোল্লা (৫৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন তাঁর মা আমিরুল নেছা।
আদালতের বিচারক রুবেল শেখ অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউনুসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ইউনুস ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ধারাখানা গ্রামের বাসিন্দা এবং এলজিইডির গাড়িচালক।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে জমি বিক্রি করে প্রায় তিন লাখ টাকা ছোট ছেলে ইউনুছ মোল্লার কাছে জমা রাখেন আমিরুল নেছা। ১২ জুন চিকিৎসার জন্য এসব টাকা চাইতে গেলে তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন ইউনুস। একপর্যায়ে তাঁকে লাথি মারেন ছেলে ইউনুস। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জেলা আদালতের বারান্দায় নিজেকে ১১০ বছর বয়সী দাবি করে আমিরুল নেছা বলেন, ইউনুস ওই টাকা না দিয়ে তাঁকে লাথি মারেন। এতে তিনি ডান পায়ে ব্যথা পান। কিন্তু এরপরও তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন ইউনুস। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস বলেন, ‘আমি মাকে মারধর করিনি। যে মা আমাকে গর্ভে ধারণ করেছেন, তাঁকে মারব কেন। আমার অন্য ভাইয়েরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আদালত আমিরুল নেছার অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আমরা আশা করছি, ন্যায়বিচার পাব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ল ন ছ ঝ লক ঠ কর ছ ন ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ