ইরান–ইসরায়েলের অর্থনীতি এই সংঘাত কত দিন চালিয়ে নিতে পারবে
Published: 20th, June 2025 GMT
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ অঞ্চলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য দেশ দুটির রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
১৩ জুন ভোররাতে হামলা চালিয়ে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া হামলায় দেশটির কিছু পারমাণবিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
তবে এই সংঘাত দুই দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এর মধ্যে দুটি দেশই শতকোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে, যা তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে।
যুদ্ধের পেছনে ইসরায়েলের কত খরচ
২০২৩ সালের অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। এখানো সেখানে যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দেশটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সংঘাতের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ইসরায়েলের বাণিজ্যিক পত্রিকা ক্যালক্যালিস্ট ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, শুধু গাজা যুদ্ধেই ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ইসরায়েলের মোট খরচ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি মার্কিন ডলার।
গত ১৫ জুন ইসরায়েলের গণমাধ্যম ওয়াই নেট নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর মাত্র দুই দিনেই ইসরায়েলের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সাত সপ্তাহের মধ্যে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ গাজা যুদ্ধের ব্যয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইরানের আরক পারমাণবিক স্থাপনায় গতকাল বৃহস্পতিবার হামলা চালায় ইসরায়েল। ২০০৬ সালে তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানটি দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ী কিহাক সাংয়ের মালিকানাধীন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন হা-মীম গ্রুপ।
ইয়াংওয়ান ও হা-মীম ছাড়াও রপ্তানিতে সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা বাকি আট শিল্প গ্রুপ হচ্ছে মণ্ডল গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, অনন্ত, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, পলমল গ্রুপ, প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ ও মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ।
সেরা দশে থাকা নয়টি শিল্প গ্রুপের রপ্তানির ৯০ থেকে ১০০ শতাংশই তৈরি পোশাক। এই তালিকায় ব্যতিক্রম শুধু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে জুতা, আসবাব, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্য—প্রায় সবই আছে শিল্প গ্রুপটির রপ্তানির তালিকায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর এই তালিকা তৈরি করেছে। এনবিআরের পরিসংখ্যান থেকে স্থানীয় বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ও নমুনা রপ্তানি বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানির হিসাব নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ থেকে মোট ৪৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দশ গ্রুপের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৫২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১১ শতাংশ।
গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক শিল্পগোষ্ঠী