সাবেক দুই সামরিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে নতুন দল, প্রধান উপদেষ্টা সেলিম প্রধান
Published: 20th, June 2025 GMT
সাবেক দুই সামরিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি (বিআরপি) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। এই দলের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর আরও কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা রয়েছেন। দলটির প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে ছয় বছর আগে অনলাইনে ক্যাসিনো–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে আলোচনায় আসা সেলিম প্রধান।
আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই দলের ঘোষণা দেওয়া হয়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম পড়ে শোনান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি।
নতুন এই দলের সভাপতি হয়েছেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান, সাজ্জাদ হোসেন ইউনুস ও মো. আহসানুল্লাহ। সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর (অব.) রাকিবুল হাসান ও মঞ্জুর হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আবুল হাসানাত, মো. জাহিদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম রনি, কামরুল হাসান, আইনবিষয়ক সম্পাদক অলিদ আহমেদ, নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক আনিকা তাসনীম খান, সহসম্পাদক মৌসুমী আক্তার সুমি, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সম্পাদক মেজর (অব.) শাহেদুল ইসলাম, সহসম্পাদক (সহপরিচালক) মো. জহিরুল হক, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সহসম্পাদক মোছা. শারমিন আক্তার মুক্তা, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. রাহুল আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক সৌরভ চন্দ্র মজুমদার।
দলের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সবার উপরে দেশ’। এ বিষয়ে দলের সভাপতি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ভোটের রাজনীতি নয়, আমরা জনগণের রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা বাংলাদেশপন্থী হতে চাই। আমরা কোনো দিল্লিপন্থী না, পিন্ডিপন্থী না, নিউইয়র্কপন্থী না, আমরা বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই। যাঁরা আমাদের সাথে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক স্থাপন করবে, সকলেই আমাদের বন্ধু। আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে সকলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।’
নতুন দল বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টির (বিআরপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন নেতা–কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের খরমপট্টি এলাকার সমবায় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর করার সুযোগ এসেছে।
রুহুল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে দলের ভেতরে নানা অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় তা থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাত জেলার দায়িত্বে থাকা একজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেতার একই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অনিয়ম ও বিভক্তি তৈরি করছে। বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনেক বর্ষীয়ান ও সম্ভাবনাময় নেতারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরও বলেন, সভাপতি পরিবর্তন হলে কিশোরগঞ্জে অনিয়ম কমবে। সদর থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলে জেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থাকবে। জেলা–উপজেলার নেতা-কর্মীরা নজরে থাকবেন। এতে অনিয়ম কম হবে, যা দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা থাকার কারণেই একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তিনি নন, আরও অনেক নেতা কেন্দ্রীয় পদে থেকেও জেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপি জানিয়েছে, প্রায় ৯ বছর পর এবার জেলা বিএনপির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পুরাতন স্টেডিয়ামে মঞ্চ, প্যান্ডেলসহ শহরে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন রুহুল হোসাইন (ছাতা) ও মো. শরীফুল আলম (আনারস)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ফুটবল), মাজহারুল ইসলাম (রিকশা), শফিকুল আলম রাজন (মাছ) ও সাজ্জাদুল হক (গোলাপ ফুল)।