সিলেট সীমান্তের ওপারে ঝুলে থাকা বাংলাদেশির লাশ ২৫ ঘণ্টা পর হস্তান্তর
Published: 20th, June 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া বাংলাদেশি যুবক মো. জাকারিয়া আহমদের (২৩) মরদেহ ২৫ ঘণ্টা পর হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর ১টার দিকে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এসময় বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের পিনারসালা থানা পুলিশ জাকারিয়া আহমদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
মারা যাওয়া জাকারিয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছড়ারবাজারের লামাগ্রামের মো.
আরো পড়ুন:
ঝরনা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন সীমান্ত পিলার ১২৫৮/২০-এস থেকে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছে মো. জাকারিয়া আহমদের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি সিলেট ব্যাটালিয়নকে (৪৮ বিজিবি) জানানো হয়। বিএসএফ লাশের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারতের পিনারসালা থানায় সংবাদ দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের পিনারসালা থানা পুলিশ জাকারিয়া আহমদের মরদেহ নিয়ে যায়।
জাকারিয়া আহমদের বাবা আলাউদ্দিন জানান, কারো সঙ্গে জাকারিয়ার সমস্যা ছিল না। গত বুধবার রাতে তারা সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ১১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার ছেলে ভারতের অভ্যন্তরে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন।
বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, “বাংলাদেশি যুবকের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় বাংলাদেশের পুলিশ ও বিজিবি সেখানে যেতে পারেনি। রাতে ভারতের পিনারসালা থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। শুক্রবার দুপুরে মরদেহটি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।”
ঢাকা/নূর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ব এসএফ আহমদ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
উড়োজাহাজে থাপ্পড়ের শিকার যাত্রীর খোঁজ মিলেছে, ঘটনার সময় ভয়ে কাঁপছিলেন তিনি
ভারতের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে প্যানিক অ্যাটাকের (আতঙ্কিত) শিকার হওয়া সেই যাত্রী হুসেইন আহমদ মজুমদারের খোঁজ মিলেছে। তিনি ওই দিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তিনি যখন ভয় পাচ্ছিলেন, তখনই অন্য এক সহযাত্রী তাঁকে চড় মেরে বসেন।
ভারতের আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী হুসেইন আহমেদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি মুম্বাই থেকে কলকাতা হয়ে শিলচর যেতে ইন্ডিগোর ফ্লাইটে চড়েছিলেন। মাঝ আকাশে তিনি ‘প্যানিক অ্যাটাকের’ শিকার হন। উড়োজাহাজ অবতরণের পর কেবিন ক্রুরা তাঁকে বিমান থেকে নামাতে সাহায্য করছিলেন। সেই সময় হাফিজুল রহমান নামের এক যাত্রী হঠাৎ তাঁকে চড় মারেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের পর হাফিজুল রহমানকে আটক করা হয়। উড়োজাহাজের নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হুসেইন আহমদ বলেন, ‘আমি দিবাগত রাত ২টায় উড়োজাহাজে উঠেছিলাম। তখন খুব ভয় পাচ্ছিলাম, শরীর কাঁপছিল। তাই এক যাত্রীর পাশে গিয়ে বসি। তাঁর নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হাফিজুল রহমান। আমি বুঝতে পারি তিনি মুসলিম। তাই আমি তাঁকে সালাম দিই। তখনো আমি নার্ভাস ছিলাম। সেটা দেখেই তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাকে তিন-চারবার চড় মারেন।’
হুসেইন আরও বলেন, তিনি ওই যাত্রীর সঙ্গে কোনো অসদাচরণ করেননি।
আসামের এই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘ঘটনা দেখে কেবিন ক্রুরা হস্তক্ষেপ করেন এবং জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি আমাকে চড় মারলেন। তাঁরা আমাকে পানি দেন এবং শান্ত করার চেষ্টা করেন।’
কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর হুসেইন মজুমদার ও অভিযুক্ত হাফিজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর থাপ্পড়ের পর খোঁজও মিলছে না যাত্রীর: পরিবারের দাবি০২ আগস্ট ২০২৫হুসেইন বলেন, পরে তাঁকে থানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় শিলচরের ফ্লাইটে তিনি আর উঠতে পারেননি।
হুসেইন আরও বলেন, ‘চড় খাওয়ার কারণে মাথায় ব্যথা হচ্ছে এবং সহজে উঠতে পারছি না।’
অপ্রত্যাশিত এ ঘটনার পর হুসেইনের পরিবার গত শুক্রবার তাঁর নিখোঁজ থাকার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এরপর গত শনিবার তাঁকে আসামের বরপেটা জেলার একটি রেলস্টেশনে পাওয়া যায়। শিলচর থেকে ওই স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।