মুন্সীগঞ্জে প্রবাস ফেরত যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার অন্যতম আসামি মো. শাহাদাত বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দেওয়ানকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধায় ঢাকার আগুলিয়া থানার জিরানী বাজার এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব জানায়, নিহত শ্যামল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি গ্রামের মৃত আব্দুল গনি বেপারীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন মালয়েশিয়াতে ছিলেন। খুন হওয়ার ৬ মাস আগে দেশে ফেরেন তিনি। ২০২৩ সালে (১৩ জুন) মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে নিজ বসত ঘরে তিনি একা ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় একই গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত বেপারী, ইব্রাহিম বেপারী, তার ভাগিনা হাবিব ও মহিউদ্দিন বেপারীসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা চালায়।

এসময় তারা শ্যামলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২৮(৬)২৩। ওই মামলায় শাহাদাত বেপারী দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসামির বিরূদ্ধে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন থানায় হত্যা ও হত্যা চেষ্টাসহ, বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, “আটকের পরে আসামি শাহাদাত বেপারীকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। তাকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হবে।”

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন য ব ১১

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) পুলিশ লাইনস্ ড্রিল শেডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট ইনচার্জগণ ও ফোর্স সামষ্টিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার মহোদয় সেসব সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করেন।

পরে দুপুরে মে মাসের বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি বিষয়ে “অপরাধ পর্যালোচনা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ওয়ারেন্ট তামিল, অবৈধ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার করতে নির্দেশ প্রদান করেন। 
এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/ মোঃ ইসলাম, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে বন্দর থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/মোঃ হুমায়ুন কবির, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এএসআই (নিঃ)/ আব্দুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সোনাগাঁও থানার এসআই (নিঃ)/ নাইমুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই (নিঃ)/ এসএম ইলিয়াস এবং শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মরত এসআই (নিঃ)/অংকুর কুমার ভট্টাচার্য-গনকে পুরস্কৃত করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মহোদয়। এছাড়া জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং জেলার সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ওবায়েদ উল্লাহ মনা'র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধু মহলের দোয়া 
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ একাধিক মামলার আসামি যুবদল নেতা মোস্তাফা গ্রেপ্তার
  • আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনিতে হত্যার ‘মূলহোতা’ গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা