জোড়া সেঞ্চুরি—এক টেস্টে কোনো ব্যাটসম্যানের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরিকে এই শব্দযুগল দিয়েই বোঝানো হয়। ইংরেজিতে যে কীর্তিকে বলা হয় ‘সেঞ্চুরি ইন ইচ ইনিংস’। ১৯০৯ সালে প্রথম কোনো ব্যাটসম্যানকে জোড়া সেঞ্চুরি করতে দেখেছিল টেস্ট ক্রিকেট। ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কীর্তি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ওয়ারেন বার্ডসলি। প্রথম ইনিংসে ১৩৬ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রান করেছিলেন।

আজ বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন টেস্ট ক্রিকেটকে ৯৬তম জোড়া সেঞ্চুরি উপহার দিলেন। তবে ব্যাটসম্যানের সংখ্যা ৯৬ নয়, ৭৮ জন। নাজমুলসহ ১৫ জন ব্যাটসম্যান যে একাধিকবার জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের আবার এই কীর্তি আছে তিনবার করে।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নাজমুল ছাড়া জোড়া সেঞ্চুরি আছে শুধু মুমিনুল হকের। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল।

টেস্টে একাধিকবার জোড়া সেঞ্চুরি সরাসরি: গল টেস্ট১৬জোড়া সেঞ্চুরি করা ১৬তম অধিনায়ক নাজমুল। তাঁদের মধ্যে রিকি পন্টিং অধিনায়ক হিসেবেই তিনবার জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন।২৫সবচেয়ে বেশি জোড়া সেঞ্চুরি অস্ট্রেলীয়দের। ১৩ জোড়া সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে ইংল্যান্ড।১৬সবচেয়ে বেশি জোড়া সেঞ্চুরি হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।০টেস্টের নবীনতম দুই দেশ আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদেরই কোনো জোড়া সেঞ্চুরি নেই।আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি ম্যাচ বাইরে থেকে ফেরার রেকর্ড নায়ারের৫২ মিনিট আগে৮সবচেয়ে বেশি জোড়া সেঞ্চুরি দেখেছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল।১জোড়া সেঞ্চুরি করে দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকা একমাত্র ব্যাটসম্যান শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা।১দুই ইনিংসেই ১৫০ ছাড়িয়েছেন শুধু অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার।৬ছয়বার একই টেস্টে দুজন ব্যাটসম্যান জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস।২টেস্ট অভিষেকে জোড়া সেঞ্চুরি আছে দুজনের—ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রো ও পাকিস্তানের ইয়াসির হামিদ।২ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা একই ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। গুচ ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে ও সাঙ্গাকারা ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।৬এক ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন ছয়জন। স্পোর্টস কুইজ: বাংলাদেশের ২৫ বছরের টেস্ট ইতিহাস কতটা মনে রেখেছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন

এছাড়াও পড়ুন:

সেই সেমিনার নিয়ে ব্যাখ্যা দিল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার দাবি করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। ওই সেমিনারের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অনুষ্ঠানটির বিষয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে।

শনিবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং মহাসচিব ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ আগস্ট (গতকাল) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে উপদেষ্টাদের নিয়ে দু-একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত নেতিবাচক সংবাদটি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, (শুক্রবারের) সেমিনারের বিষয়বস্তু–সম্পর্কিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও দু-একটি গণমাধ্যমে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ ও বিষয়বস্তুর বাইরে উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেমিনার একটি একাডেমিক বিষয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞজনেরা দেশের জনপ্রশাসনের গতিপ্রকৃতি ও প্রত্যাশা নিয়ে তাঁদের ‍নিজস্ব বক্তব্য দেন। অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সেমিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে আগামী দিনের জনপ্রত্যাশা ও জনপ্রশাসন নিয়ে অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক, আত্মসমালোচনা ও গঠনমূলক বক্তব্য, পরামর্শ ও প্রত্যাশা ‍উঠে আসে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের চারজন সদস্যও সেমিনারে তাঁদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। (শুক্রবার) অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল, সেটাই অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রমসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিয়াম মিলনায়তনে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার অভিযোগ করেছিলেন, আট উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি। আওয়ামী লীগের সময়ে তিনি যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসরে যান। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর তাঁকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার বিকেল চারটায় সেমিনার শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। সেমিনারে প্রশাসন ক্যাডারের শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আবদুস সাত্তার তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা ‘ঠিক ঠিক’ বলে হাততালি দেন।

আরও পড়ুনআট উপদেষ্টার সমালোচনায় সাবেক সচিব ০৮ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ