গোপালগঞ্জে আলাদা তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার টুকু বাজার ও ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোমান মোল্যা ও গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের ওড়াকান্দি গ্রামের সরোয়ার খা (৭০), কাশিয়ানী উপজেলার মানিক লাল পালের ছেলে বিপুল পাল (৪০) ও সোহাগ পরিবহনের হেলপার খুলনার দৌলতপুরের মো.

রাজা শেখের ছেলে শাওন শেখ (৩০)।

ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোমান মোল্যা জানান, কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের টুকু বাজারের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ি ওড়াকান্দি যাচ্ছিলেন বৃদ্ধ সরোয়ার খা। এসময় টুকু বাজার এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক পার হতে গেলে হাসান ট্রাভেলের একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দিলে মারাত্মক আহত হন তিনি।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। 

এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী আধাঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

অপরদিকে, গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস জানান, গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি নসিমন গোপীনাথপুর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি কার্ভাড ভ্যান পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নসিমনের যাত্রী বিপুল পাল মারা যান।

অন্যদিকে, একই স্থানে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এসময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ট্রাকের পিছনে সাজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেলে বাসের হেলপার শাওন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় ১০ জন যাত্রী আহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো জব্দ করা হয়।

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ দ র ঘটন উপজ ল র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে শেখ জুয়েল (৪৫) নামে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে আটক করে পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের অভিযোগ । 

নিহত জুয়েল বাঙ্গরা গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে ওয়াই-ফাই ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি শেখ বাড়ির মৃত শেখ গোলাম সারোয়ারের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, ‘‘সকাল থেকে আমার স্বামী বিল কালেকশন করতে বের হয়েছিলেন। দুপুরের পর শুনি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। থানায় গিয়ে দেখা করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে অনেক অনুরোধে দেখা করতে দিলে জুয়েল বলেন, ‘আমি কিছু করিনি। আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করো।’ সন্ধ্যার পর জানানো হয়, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গিয়ে দেখি, তিনি আর বেঁচে নেই।’’ 

জুয়েলের ছেলে শেখ সিহাব বলেন, ‘‘আমার বাবাকে বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে পুলিশ মেরে ফেলেছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়েও কিছু জানায়নি।’’ 

নিহতের চাচাতো ভাই ও উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই আল আমিন তাকে আটক করেন। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফোন দিলে এসআই বলেন, হাসপাতালে যেতে। সেখানে গিয়ে দেখি, জুয়েল মারা গেছেন।’’ 

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘‘রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা করে তাকে মৃত পাওয়া যায়।’’ 

এ বিষয়ে জানতে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ ঘটনায় জেলা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/রুবেল/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মারধর, এসআই বরখাস্ত
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
  • ফেনীতে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৫ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
  • রাঙ্গুনিয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা
  • চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
  • কুমিল্লায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ