ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। শনিবার মধ্যরাতের ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। আরব দেশগুলোও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আরব দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-

ওমান
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ছিল। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এই দেশটি। ওমানের সুলতান যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সরাসরি বিমান হামলার ফলে সৃষ্ট উত্তেজনার গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানান।

সৌদি আরব
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শক্তিশালী নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে সৌদি আরবের। মার্কিন হামলার পর সৌদি আরব ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়। দেশটি বলেছে, এই ধরনের হামলা ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপরও আঘাত।

কাতার
হামলার পর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে যে, বর্তমান বিপজ্জনক উত্তেজনা পরিস্থিতি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনবে। একই সাথে সবপক্ষকে বিচক্ষণতা ও ধৈর্য ধারণের আহবান জানানো হয় বিবৃতিতে।

মিশর
হামলার পর এই অঞ্চল আরো বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনার দিকে ঝুঁকতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশর। দেশটি জোর দিয়ে বলেছে যে, সামরিক সমাধান নয়, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক আলোচনাই এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়।

লেবানন
লেবাননের রাষ্ট্রপতি জোসেফ আউন বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় বোমা হামলা উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। যা এ অঞ্চল এবং দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ