ম্যানচেস্টার সিটির সামনে ছিল সহজ সমীকরণ। শেষ ষোলোতে যেতে চাই জয়। আর সেই লক্ষ্যপূরণের ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গোলের ঝড় তুলল সিটিজেনরা। ক্লাব বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে তারা ৬-০ গোলে হারিয়েছে আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনকে।

এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে পেপ গার্দিওলার দল। একই সঙ্গে গ্রুপের অন্য দল জুভেন্টাসও জায়গা করে নিয়েছে পরবর্তী পর্বে।

ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ইলকায় গুন্দোয়ান। একটি করে গোল করেন আর্লিং হল্যান্ড, ক্লদিও এচেভেরি, অস্কার বব ও রায়ান শেরকি। তরুণ এচেভেরি এবং সদ্য দলে যোগ দেওয়া শেরকির জন্য এটি ছিল ম্যানসিটি জার্সিতে প্রথম গোল।

আরো পড়ুন:

১৪ কোটি টাকা জরিমানা গুনলো ম্যানসিটিকে

ক্লাব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির

নবম মিনিটে ম্যাচের গোল উৎসব শুরু হয় গুন্দোয়ানের পা থেকে। এরপর ফ্রি-কিকে এচেভেরি এবং পেনাল্টিতে হল্যান্ড প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৩ মিনিটে আবারও গোল করেন গুন্দোয়ান। শেষ দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে গোল করেন অস্কার বব (৮৪ মিনিট) ও শেরকি (৮৯ মিনিট)।

দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে জুভেন্টাস রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ফলে এই দুই দলের মধ্যকার বৃহস্পতিবারের ম্যাচে নির্ধারণ হবে গ্রুপ সেরা কে। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ