দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি তপন চৌধুরী ও সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পিএলসির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন জারিন মাহমুদ হোসেন। এমটিবি আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তপন চৌধুরী আস্ট্রাজ লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে এমটিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মার্কেটিং বিভাগে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হিসেবে নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি স্কয়ার টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান। তপন চৌধুরী ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এবং ইয়াং মেন’স খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াইএমসিএ) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তপন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি; ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এবং এপেক্স ট্যানারি, এপেক্স ফার্মা ও ব্লু ওশান ফুটওয়্যারের পরিচালক। তিনি লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) বর্তমান সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি। নাসিম মঞ্জুর ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।

জারিন মাহমুদ হোসেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি প্রতিষ্ঠান স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার। তিনি ব্লেন্ডেড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হারস্টোরি ফাউন্ডেশন ও চলপড়ির প্রতিষ্ঠাতা। নিউইয়র্ক সিটি মেয়রস বাজেট অফিসে যোগ দিয়ে তাঁর পেশাগত যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি কেপিএমজি এলএলপিতে (নিউইয়র্ক) কর্মরত অবস্থায় সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিপিএ) হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন। তিনি স্মিথ কলেজ থেকে বিএ ও নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএ সম্পন্ন করেন। তিনি দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের একজন ফেলো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তপন চ ধ র ফ টওয় য র ন কর ন এমট ব

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী এপস্টেইনের বাড়িতে এবার পাওয়া গেল সৌদি যুবরাজের ছবি

কুখ্যাত শিশু যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের নিউইয়র্ক নগরের বাড়িতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি ছবি পাওয়া গেছে। এই ছবি নিয়ে অনলাইনে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন ওই ঝড় উসকে দিয়েছে। প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক নগরে জেফরি এপস্টেইনের প্রাসাদতুল্য বাসভবনের ভেতরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ফ্রেম করা ছবি পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে প্রয়াত এপস্টেইনের ম্যানহাটানের সাততলা বাড়ির ভেতরের বিবরণ তুলে ধরা হয়।

শিশুদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এপস্টেইন। তাঁর বিচারকাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছিল। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের একটি কারাগার থেকে এপস্টেইনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এপস্টেইন আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। পরে বিচার বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এপস্টেইন আত্মহত্যা করেছেন।

এক শিশুকে যৌনকর্মের জন্য পাচার করার অভিযোগে হওয়া একটি মামলায় ২০০৮ সালের দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এপস্টেইন। কিন্তু বিতর্কিত একটি সাজা হ্রাস আইনের অধীনে তাঁকে মাত্র ১৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

এপস্টেইনের বাড়ির ভেতরের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যায়, তাঁর শয়নকক্ষ ও সংলগ্ন কক্ষে বসানো রয়েছে নজরদারি ক্যামেরা। বাড়ির ভেতরে রয়েছে স্টাফ করা প্রাণীর দেহ, উসকানিমূলক শিল্পকর্ম ও ভাস্কর্য।

ভবনের ভেতরে সৌদি যুবরাজের ছবি থাকার কথা প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

যদিও অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী এতে মোটেও অবাক হননি বলে মন্তব্য করেছেন। একজন তাঁর মন্তব্যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আরেকটি ছবির প্রসঙ্গ টানেন, যে ছবিতে জর্জ আরেফ নাদেরের সঙ্গে সৌদি যুবরাজকে দেখা যায়।

জেফরি এপস্টেইনের বাড়িতে সাজিয়ে রাখা ছবিতে তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়াকে দেখা যাচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশু যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী এপস্টেইনের বাড়িতে এবার পাওয়া গেল সৌদি যুবরাজের ছবি