তপন চৌধুরী, নাসিম মঞ্জুর ও জারিন মাহমুদ এমটিবির পরিচালক
Published: 23rd, June 2025 GMT
দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি তপন চৌধুরী ও সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পিএলসির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন জারিন মাহমুদ হোসেন। এমটিবি আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তপন চৌধুরী আস্ট্রাজ লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে এমটিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মার্কেটিং বিভাগে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হিসেবে নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি স্কয়ার টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান। তপন চৌধুরী ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এবং ইয়াং মেন’স খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াইএমসিএ) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তপন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি; ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এবং এপেক্স ট্যানারি, এপেক্স ফার্মা ও ব্লু ওশান ফুটওয়্যারের পরিচালক। তিনি লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) বর্তমান সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি। নাসিম মঞ্জুর ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।
জারিন মাহমুদ হোসেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি প্রতিষ্ঠান স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার। তিনি ব্লেন্ডেড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হারস্টোরি ফাউন্ডেশন ও চলপড়ির প্রতিষ্ঠাতা। নিউইয়র্ক সিটি মেয়রস বাজেট অফিসে যোগ দিয়ে তাঁর পেশাগত যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি কেপিএমজি এলএলপিতে (নিউইয়র্ক) কর্মরত অবস্থায় সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিপিএ) হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন। তিনি স্মিথ কলেজ থেকে বিএ ও নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএ সম্পন্ন করেন। তিনি দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের একজন ফেলো।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তপন চ ধ র ফ টওয় য র ন কর ন এমট ব
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানিপত্নী কে এই রমা, কীভাবে তাঁদের প্রেম–পরিণয়
রমা দুওয়াজি—ইতিহাস গড়ে নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচিত হওয়া জোহরান মামদানির স্ত্রী। জোহরান নির্বাচনে জিতে যতটা পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন, ঠিক ততটাই মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছেন রমা নিজেও।
সব ঠিক থাকলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন জোহরান মামদানি। তিনি হবেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্ম নেওয়া এবং ১৮৯২ সালের পর সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র। একই সঙ্গে রমা হবেন নিউইয়র্কের ফার্স্ট লেডি।
রমার বয়স ২৮ বছর। পেশায় শিল্পী। অ্যানিমেশন ও ইলাস্ট্রেশনের কাজ করেন তিনি। সিরীয় অভিবাসী পরিবারে তাঁর জন্ম। রমার ওয়েবসাইটে বলা আছে, তাঁর কাজ বেশির ভাগ ডিজিটাল মাধ্যমে দেখা যায়। ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্কারসহ বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যমগুলোয় তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুনমেয়র নির্বাচনে জয়ের পর এবার আসল চ্যালেঞ্জের মুখে মামদানি১৬ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিলে ওয়াইইউএসজিতে এক সাক্ষাৎকারে রমা বলেছিলেন, তাঁর শৈল্পিক কাজগুলো মূলত গভীর আবেগের বহিঃপ্রকাশ। ‘আজকাল আমি আমার অভিজ্ঞতা ও পছন্দের বিষয় নিয়ে শিল্পসৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেছি,’ বলেন রমা।
১৯৯৭ সালের ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে জন্ম রমার। নিউইয়র্ক টাইসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরীয় মা–বাবার সঙ্গে রমা মাত্র ৯ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাড়ি জমান।
আরও পড়ুনমামদানির বিজয় ভাষণ শেষে মঞ্চে বাজল ‘ধুম মাচালে’০৫ নভেম্বর ২০২৫পরে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন রমা। ভর্তি হন ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে অবস্থিত ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করেছেন রমা। লেবানন ও ফ্রান্সে শিল্পীদের জন্য নির্ধারিত আবাসেও ছিলেন তিনি।
২০২১ সালে রমা নিউইয়র্কে থিতু হন। ভর্তি হন নিউইয়র্ক স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসে। সেখান থেকে ২০২৪ সালে তিনি ফাইন আর্টসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এক সমাবেশমঞ্চে জোহরান মামদানি ও রমা দুওয়াজি। ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ৪ নভেম্বর ২০২৫