ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে পোর্তকে বিদায় করেছে ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাস ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি। নিয়মিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা পর্তুগিজ ক্লাবটি যুক্তরাষ্ট্রের টুর্নামেন্টে চেনা ফুটবল খেলতেই পারেনি। পোর্তর চেয়েও বড় ধাক্কা খেয়েছে সম্ভবত স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে তারাও।  

মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোলে ব্রাজিলের ক্লাব বোটাফোগোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ডিয়াগো সিমিওনের দল। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান গোল করে রোজি ব্লাঙ্কোসদের জয় এনে দেন। কিন্তু পিএসজি, বোটাফোগের সমান পয়েন্ট তুলেও গোল ব্যবধানে বিদায় নিয়েছে স্প্যানিশ রাজধানীর ক্লাবটি। 

গ্রুপ ‘বি’তে পিএসজি দুই জয়ের পাশাপাশি এক ম্যাচ হেরেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী প্যারিসের দলকে হারিয়েছিল বোটাফোগো। ওদিকে পিএসজি আবার হারিয়েছিল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে। এবার বোটাফোগো হারল অ্যাথলেটিকোর কাছে। এতে পিএসজি, বোটাফোগো ও অ্যাথলেটিকো সমান দুই ম্যাচে জয় ও একটি করে হেরে ৬ পয়েন্ট তুলেছে। 

কিন্তু অ্যাথলেটিকো ৪-০ গোলে পিএসজির কাছে হারায় গোল ব্যবধানে তারা পিছিয়ে গেছে। অ্যাথলেটিকো গ্রুপ পর্বে পাঁচ গোল খেয়ে চার গোল করেছে। বোটাফোগো ৩ গোল করে দুটি খেয়েছে। দুই গোলের ব্যবধানে তাই শেষ ষোলোয় গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি। 

একইভাবে পিএসজি গোল ব্যবধানে বোটাফোগোর চেয়ে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোয়ার্টারে যাওয়ার লড়াইয়ে পিএসজি ও ইন্টার মায়ামি মুখোমুখি হবে। বোটাফোগো খেলবে লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী পালমেইরাসের বিপক্ষে।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ব যবধ ন প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ